ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনেতা পীযূষ গাঙ্গুলির মৃত্যু

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫
  • 310

pijus
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পীযূষ গাঙ্গুলি। শনিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তার মৃত্যু হয়।
সপ্তমীর সন্ধ্যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন পীযূষ। তার সঙ্গে সামনের আসনেই ছিলেন নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন। সাঁতরাগাছি সেতুতে একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িটি একেবারে দুমড়ে যায়। মালবিকাদেবীকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত পীযূষের অবস্থার উন্নতি হয়নি। ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশ্যালিস্ট তপন সরকারের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড তাঁর চিকিৎসা করছিল। শনিবার চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রও তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন।
গত চার দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সঙ্কটজনক। দক্ষিণ কলকাতার যে নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন, সেখানকার চিকিৎসকেরা শনিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশনে থাকা সত্ত্বেও তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রক্তচাপ যথেষ্ট কম ছিল তার। সঙ্গে ছিল ধুম জ্বর। যকৃৎ-সহ বিভিন্ন অঙ্গ ভাল ভাবে কাজ করছিল না। চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া মিলছিল না।
ওই নার্সিংহোমের তরফে প্রদীপ টন্ডন জানান, পীযূষবাবুর ডান হাত, ডান পা এবং বুকের ডানদিকের পাঁচটি পাঁজর ভেঙে গিয়েছিল। মারাত্মক চোট ছিল মুখের দু’পাশে ও কপালে। প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় এবং হাড় ভেঙে অস্থিমজ্জা রক্তে মিশে যাওয়ায় রক্তে সংক্রমণ বাড়ছিল।

ট্যাগস :

অভিনেতা পীযূষ গাঙ্গুলির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

pijus
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পীযূষ গাঙ্গুলি। শনিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তার মৃত্যু হয়।
সপ্তমীর সন্ধ্যায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে গাড়ি চালিয়ে হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন পীযূষ। তার সঙ্গে সামনের আসনেই ছিলেন নৃত্যশিল্পী মালবিকা সেন। সাঁতরাগাছি সেতুতে একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িটি একেবারে দুমড়ে যায়। মালবিকাদেবীকে চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত পীযূষের অবস্থার উন্নতি হয়নি। ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশ্যালিস্ট তপন সরকারের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি বোর্ড তাঁর চিকিৎসা করছিল। শনিবার চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রও তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন।
গত চার দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত সঙ্কটজনক। দক্ষিণ কলকাতার যে নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন, সেখানকার চিকিৎসকেরা শনিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশনে থাকা সত্ত্বেও তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রক্তচাপ যথেষ্ট কম ছিল তার। সঙ্গে ছিল ধুম জ্বর। যকৃৎ-সহ বিভিন্ন অঙ্গ ভাল ভাবে কাজ করছিল না। চিকিৎসায় খুব একটা সাড়া মিলছিল না।
ওই নার্সিংহোমের তরফে প্রদীপ টন্ডন জানান, পীযূষবাবুর ডান হাত, ডান পা এবং বুকের ডানদিকের পাঁচটি পাঁজর ভেঙে গিয়েছিল। মারাত্মক চোট ছিল মুখের দু’পাশে ও কপালে। প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় এবং হাড় ভেঙে অস্থিমজ্জা রক্তে মিশে যাওয়ায় রক্তে সংক্রমণ বাড়ছিল।