ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ রবিবার জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • 64

বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী রবিবার। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার শিকার হন। এরপর ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
কর্মসূচি
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেলা ১১টায় শেরে বাংলানগরে তার কবরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নেতা ও বিশিষ্টজনরা।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ ছাড়া বেলা ৩টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপির শরিক দলের নেতারা। এতে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ জাতীয় নেতারা।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ২৬ থানার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
পুরস্কার বিতরণ করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
দলের অঙ্গ, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সারা দেশে একই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
এদিকে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারী।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‌‘২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে।
‘সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়। দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন।’

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আজ রবিবার জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী

আপডেট সময় : ০৬:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী রবিবার। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার শিকার হন। এরপর ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
কর্মসূচি
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেলা ১১টায় শেরে বাংলানগরে তার কবরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির আলোচনা সভা। এতে বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নেতা ও বিশিষ্টজনরা।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলটির বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ ছাড়া বেলা ৩টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপির শরিক দলের নেতারা। এতে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ জাতীয় নেতারা।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ২৬ থানার অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
পুরস্কার বিতরণ করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
দলের অঙ্গ, সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সারা দেশে একই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
এদিকে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাণীতে তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারী।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।’
ফখরুল আরও বলেন, ‌‘২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে।
‘সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়। দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন।’