ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি দূরনিয়ন্ত্রিত আকাশযান (ইউএভি) ইরানে ভূপাতিত হয়েছে। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সেটি ভূপাতিত হয়েছে।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তথ্য ফাঁস হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছিল, ইরানি বাহিনী ১৪টি ইসরাইলি ড্রোন এবং একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এই খবরের পরপরই ইসরাইলের এই বিবৃতি এলো।
ইসরাইল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা নিয়ে ইরানের সর্বশেষ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে তারা বলেছিল, তাদের কোনো যুদ্ধবিমান ইরানি ভূখণ্ডে ভূপাতিত হয়নি।
এর আগে বুধবার সকালে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে হার্মিস ৯০০ সিরিজের একটি ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
ইরানে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভূপাতিত ড্রোনটি হার্মিস ৯০০ সিরিজের। যা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী ও বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্রগুলোর একটি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি আইআরআইবি, এই ড্রোন ভূপাতিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং নজরদারির জন্য ব্যবহৃত বিধ্বস্ত ড্রোনটির ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে।
এই ড্রোনগুলো ইসরাইলের নিজস্ব যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা এলবিট সিস্টেমস হার্মিস তৈরি করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইতোমধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত ড্রোনটির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ড্রোনটি পতিত হয়েছে ইসফাহানের জনবিরল অঞ্চলে।
যদিও ইসরাইলের মতো ইরানের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই, তবে রাশিয়ার সরবরাহকৃত রাডার ঘাদির এবং ফালাক-এর সাহায্যে তারা এই ড্রোনটি শনাক্ত ও ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা ইসরাইল-ইরান সংঘাতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতার একটি প্রমাণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ইরান এর আগেও ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করলেও, এটি ‘প্রথমবার সফলভাবে’ করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখ করা হচ্ছে।