ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামে পরোপকার একটি মহৎ গুণ

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 474

ইসলাম ডেস্কঃ

পার্থিব দুনিয়ায় মানুষ মানুষের সহযোগী। বিপদে-আপদে একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই দাবি মানবতার। পরোপকার একটি মহৎ গুণ। ইসলাম ও মানবতার সম্পর্কে নবী মুহাম্মদ সা. বলেছেন, ‘মুমিন মিলেমিশে থাকে। তার মধ্যে ভালো কিছু নেই, যে মিলেমিশে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।’ [আল মুজামতুল আউসাত : হাদিস নং ৫৭৮৭]

যারা মানুষকে সাহায্য করে, আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে এসেছে ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়াবি সংকটগুলো থেকে একটি সংকট মোচন করে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার আখিরাতের সংকটগুলোর একটি সংকট মোচন করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্তের অভাব মোচনে সাহায্য করবে, আল্লাহ তাআলাও তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-গুণ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ [মুসলিম : হাদিস- ২৬৯৯]

তবে কারো উপকার শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করা উচিত, পার্থিব স্বার্থে নয়। কখনো এদিকে লক্ষ করা উচিত নয় যে যার উপকার করা হয়েছে তার পক্ষ থেকে কী ধরনের আচরণ আসছে। খোঁটা দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। কেননা কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের দান-সদকাকে প- করো না খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে।’ [সুরা বাকারা : ২৬৪]

খোঁটা দিতে পারে তো কেবল সে-ই, যে উপকার করে পার্থিব প্রাপ্তির আশায়। ফলে সে যখন তার আশানুরূপ ফল পায় না, তখন হতাশায় ভেঙে যায় তার মনের স্বচ্ছ আয়না। সেই হতাশারই প্রকাশ ঘটে খোঁটার চূর্ণবিচূর্ণ কাচের আঘাতের মাধ্যমে। তাই মুমিন ব্যক্তি কখনো খোঁটা দেওয়ায় অভ্যস্ত হয় না। কারণ তারা জানে, এর প্রতিদান তারা পাবেই। কেননা ‘আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পদ খরিদ করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে, এর বিনিময়ে।’ [সুরা তাওবা : ১১১]

ট্যাগস :

ইসলামে পরোপকার একটি মহৎ গুণ

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

ইসলাম ডেস্কঃ

পার্থিব দুনিয়ায় মানুষ মানুষের সহযোগী। বিপদে-আপদে একে অন্যের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই দাবি মানবতার। পরোপকার একটি মহৎ গুণ। ইসলাম ও মানবতার সম্পর্কে নবী মুহাম্মদ সা. বলেছেন, ‘মুমিন মিলেমিশে থাকে। তার মধ্যে ভালো কিছু নেই, যে মিলেমিশে থাকতে পারে না। যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সে-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ।’ [আল মুজামতুল আউসাত : হাদিস নং ৫৭৮৭]

যারা মানুষকে সাহায্য করে, আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন। হাদিস শরিফে এসেছে ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়াবি সংকটগুলো থেকে একটি সংকট মোচন করে দেয়, আল্লাহ তাআলা তার আখিরাতের সংকটগুলোর একটি সংকট মোচন করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবগ্রস্তের অভাব মোচনে সাহায্য করবে, আল্লাহ তাআলাও তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-গুণ গোপন করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ [মুসলিম : হাদিস- ২৬৯৯]

তবে কারো উপকার শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করা উচিত, পার্থিব স্বার্থে নয়। কখনো এদিকে লক্ষ করা উচিত নয় যে যার উপকার করা হয়েছে তার পক্ষ থেকে কী ধরনের আচরণ আসছে। খোঁটা দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। কেননা কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের দান-সদকাকে প- করো না খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে।’ [সুরা বাকারা : ২৬৪]

খোঁটা দিতে পারে তো কেবল সে-ই, যে উপকার করে পার্থিব প্রাপ্তির আশায়। ফলে সে যখন তার আশানুরূপ ফল পায় না, তখন হতাশায় ভেঙে যায় তার মনের স্বচ্ছ আয়না। সেই হতাশারই প্রকাশ ঘটে খোঁটার চূর্ণবিচূর্ণ কাচের আঘাতের মাধ্যমে। তাই মুমিন ব্যক্তি কখনো খোঁটা দেওয়ায় অভ্যস্ত হয় না। কারণ তারা জানে, এর প্রতিদান তারা পাবেই। কেননা ‘আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও তাদের সম্পদ খরিদ করে নিয়েছেন, তাদের জন্য জান্নাত আছে, এর বিনিময়ে।’ [সুরা তাওবা : ১১১]