ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

এমপি লিটন হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল-গুলি পরীক্ষার জন্য ঢাকায়

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭
  • 265

নিউজ ডেস্ক:: মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় অভিযুক্ত কাদের খান সোর্স হিসেবে দীর্ঘদিন আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও এমপি লিটন বিরোধী গ্রুপের অন্যতম চন্দন কুমার রায়কে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন কাদের খান। এদিকে লিটন হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তুল, ম্যাগাজিন, গুলি ও গুলির খোসা পরীক্ষার জন্য সোমবার বিকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে হত্যার পর যে আগমনী এক্সপ্রেস কোচে খুনিরা ঢাকায় গিয়েছিল তার টিকিটের রেজিস্ট্রার খাতা ও বগুড়ার যে হোটেলে কাদেরসহ কিলাররা খাওয়া দাওয়া করেছে সেই আকবরিয়ায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ক্লিপও পুলিশ জব্দ করেছে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম জানান, এই হত্যাকাণ্ডের কাদের খানের অন্যতম সোর্স ও সমন্বয়নকারী চন্দন কুমার সরকারের সম্পৃক্ততার কথা শুধু কাদের খানই নন গ্রেফতার ৪ জন কিলার এ সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।

গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পি পি শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, আব্দুল কাদের খানসহ ৫ আসামির জবানবন্দিতে চন্দন কুমার রায় নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নাম এসেছে। এমপি লিটনকে হত্যা করতে কাদের খানের সাথে তিনি পরিকল্পনা এবং লিটনের অবস্থানসহ সব ধরনের তথ্য কাদেরকে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করেছেন চন্দন।

এদিকে চন্দন সরকার এখন ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গাইবান্ধার কয়েকজন সাংবাদিককে কলকাতার একটি নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে চন্দন যোগাযোগ করে বলেন তিনি এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। তাকে অহেতুক ফাঁসানো হচ্ছে। তবে কাদের খান এবং কিলারদের সাথে তার মোবাইলের কথোপকথন রেকর্ড করা আছে বলে জানানো হলে তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান। তিনি এই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলে কেন পালিয়ে গা ঢাকা দিলেন এ প্রশ্ন করলে জানান, পুলিশ তার খোঁজ করছিল বলেই ঝামেলা এড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

এমপি লিটন হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল-গুলি পরীক্ষার জন্য ঢাকায়

আপডেট সময় : ১২:২৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:: মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় অভিযুক্ত কাদের খান সোর্স হিসেবে দীর্ঘদিন আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও এমপি লিটন বিরোধী গ্রুপের অন্যতম চন্দন কুমার রায়কে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন কাদের খান। এদিকে লিটন হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তুল, ম্যাগাজিন, গুলি ও গুলির খোসা পরীক্ষার জন্য সোমবার বিকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে হত্যার পর যে আগমনী এক্সপ্রেস কোচে খুনিরা ঢাকায় গিয়েছিল তার টিকিটের রেজিস্ট্রার খাতা ও বগুড়ার যে হোটেলে কাদেরসহ কিলাররা খাওয়া দাওয়া করেছে সেই আকবরিয়ায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ক্লিপও পুলিশ জব্দ করেছে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম জানান, এই হত্যাকাণ্ডের কাদের খানের অন্যতম সোর্স ও সমন্বয়নকারী চন্দন কুমার সরকারের সম্পৃক্ততার কথা শুধু কাদের খানই নন গ্রেফতার ৪ জন কিলার এ সম্পর্কে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।

গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পি পি শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, আব্দুল কাদের খানসহ ৫ আসামির জবানবন্দিতে চন্দন কুমার রায় নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নাম এসেছে। এমপি লিটনকে হত্যা করতে কাদের খানের সাথে তিনি পরিকল্পনা এবং লিটনের অবস্থানসহ সব ধরনের তথ্য কাদেরকে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করেছেন চন্দন।

এদিকে চন্দন সরকার এখন ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গাইবান্ধার কয়েকজন সাংবাদিককে কলকাতার একটি নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে চন্দন যোগাযোগ করে বলেন তিনি এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত নন। তাকে অহেতুক ফাঁসানো হচ্ছে। তবে কাদের খান এবং কিলারদের সাথে তার মোবাইলের কথোপকথন রেকর্ড করা আছে বলে জানানো হলে তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান। তিনি এই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলে কেন পালিয়ে গা ঢাকা দিলেন এ প্রশ্ন করলে জানান, পুলিশ তার খোঁজ করছিল বলেই ঝামেলা এড়াতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।