তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:: অসংখ্য মানুষ কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করে থাকেন।অনেকেরই স্বপ্ন থাকে কানাডায় বসবাসের।কানাডার শ্রম বাজারে মানুষের দরকার। তারা প্রতিবছর কোটি কোটি ইমিগ্রশন দরখাস্তের মাঝে লাখ তিনেক লোককে বসবাসের অনুমতি দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সরকারের হিসাবে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।সামাজিক নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা,ধর্মীয় স্বাধীনতা,বিনামূল্যে চিকিৎসা,১২ ক্লাস পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশুনা,শিশুদের লালনপালনের জন্য সরকারি ভাতাসহ অনেক সুবিধা এ দেশে রয়েছে।
কিন্তু মুদ্রার ওপিঠে আরো অনেক কিছু রয়েছে।এখন প্রায় ৬ ভাগ মানুষ কানাডায় বেকার।অনেক পেশা প্রযুক্তির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে কানাডা থেকে।বড় বড় দোকানগুলিতে কেনাকাটা শেষে বিল দেয়ার ক্ষেত্রে সেল্ফ চেকআউট চালু হয়েছে।একেকটি দোকানে ৮-১০ টি সেল্ফ চেকআউট থাকে।মানুষ কেনাকাটা করে নিজের বিল নিজে দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।সবগুলি চেক আউটের জন্য মানুষকে সাহায্য করার জন্য ১ জন মাঝে মাঝে থাকে।সেল্ফ চেক আউটই প্রতিটি দোকান থেকে ২০-২৫ জনের চাকরি খেয়ে ফেলেছে।
ব্যাংকগুলি মাত্র ৪-৫ জন স্টাফ নিয়ে মিলিয়ন ডলারের লেনদেন করে।মানুষের খুচরা পয়সা উঠানো, ব্যাংক একাউন্ট খোলা আর মরগেজের কাগজ স্বাক্ষর করা ছাড়া ব্যাংকে তেমন একটা যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।সব কাজ হয় এটিএমবুথে,মোবাইলের এপিএস আর ল্যাপটপে।
কানাডার উইনিপেগ একটি অন্যতম বড় শহর। পুলিশ প্রধানসহ পুলিশের সংখ্যা ১৪২১ জন।বাংলাদেশের মতো ট্রাফিক পুলিশের ধারণা নেই।সারাদিন রাস্তায় ঘুরলেও ২/১ টি পুলিশের গাড়ি দেখতে পাওয়া যায় না।সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।স্পিডের একটু এদিক সেদিক হলে বা কেউ যদি কোনো সিগনালে না থাকে ২/৩ দিনের মাঝে শতশত ডলারের টিকিট চলে যায় বাসায়।এখানে মানুষের কাজ খালি খামে টিকেটের কাগজ ভরে পোস্ট করে দেয়া।
বিশাল মার্কেটগুলি গাড়ির সাহয্যে ১ জন মানুষ ২-১ ঘন্টার মাঝে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলে।বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানে ৪-৫ লাখ টাকা লেনদেন হলে একজন একাউন্টেন্ট থাকে।এখানে সবকিছুতে আধুনিক প্রযুক্তির ফলে ১ জন একাউন্টেন্ট প্রতি ১৫ দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ৪/৫ ঘন্টা কাজ করে সব ঠিক করে ফেলতে পারে।যার জন্য প্রতি মাসে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। দিন দিন আরও বাড়বে।