যথাযোগ্য মর্যাদায় কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি’ এবং ‘রেমিট্যান্সযোদ্ধা দিবস’ পালন করেছে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন দূতাবাসে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জুলাই-আগস্টের গ্রাফিতি ও ফটোগ্যালারি উদ্বোধন করেন। এরপর পবিত্র কোরান তিলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের উপর কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও রেমিট্যান্সযোদ্ধা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মৌলিক অধিকারের সপক্ষে একটি বলিষ্ঠ ও ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর, যেখানে লাখো মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক এবং মানুষের কল্যাণে প্রতিশ্রুতবদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যাশায়। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, জুলাই-আগস্টের ভাবধারা বহন করে কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে সৎভাবে জীবনযাপন করে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে নিরব সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার এবং বিশ্বের সব রেমিট্যান্সযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
সবশেষে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা এবং সব রেমিট্যান্সযোদ্ধার মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শেষ হয়।