ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেমন হওয়া উচিত রাতের খাবারের তালিকা ?

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 790


স্বাস্থ্য ডেস্ক, রোগীরা বলে থাকেন ডাক্তার সাহেব আমি তো সারাদিন প্রায় কিছু খাই না। একটু চা, কপি, বিস্কুট আর রাতে বাসায় ফিরে একটু ভাত, মাছ, মাংস তরকারি এই তো। তার পরও ওজন কেন কমছে না। অনেক মহিলা বলে থাকেন সারাদিন শুধু একটু শসা বা গাজর খাই। রাতে ভাত। অনেকে আবার রাতে তেমন কিছু খান না। অনেকে দুপুরে ভাত খান। আর আইসক্রিম, ফাস্টফুড এসব খাবার মেনুর বাইরে থাকে। কেমন হওয়া উচিত খাবার তালিকা। এসব নিয়েও থাকে নানান প্রশ্ন । চিকিৎসকের কাছ থেকে জানা জায় ক্যালরি ঠিক রেখে যতটা খাদ্য নির্বাচন করা যায় ততই ভালো।

যাহোক, ফিরে আসি রাতের খাবার প্রসঙ্গে। রাতে হালকা খাবার আহারের পক্ষে বেশিরভাগ পুষ্টি বিজ্ঞানী। রাতে অধিক আহারে সমস্যা কোথায়। এব্যাপারটিও জানা দরকার। রাতে সাধারণত আমাদের কোনো ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বা পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমরা আহার থেকে যে খাদ্যশক্তি পাই তা শরীরে জমা হয়। ফলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া রাতে বেশি আহার করলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও বিলম্ব হয়।

এছাড়া অনেকে লেট নাইটে আহার করেই বিছানায় শরীর এলিয়ে দেন। ফলে খাবার পেটের উপরিভাগে উঠে ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছেদায় চাপ দেয়। তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। যাকে বলা হয় হার্ট বার্ন বা বুক জ্বালা-পোড়া। অনেকে এধরনের বুকের ব্যথাকে হার্টের সমস্যা মনে করেন। রাতে খাবার পরিমিত বা কম আহার করলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে ওজন আধিক্য থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

ট্যাগস :

কেমন হওয়া উচিত রাতের খাবারের তালিকা ?

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


স্বাস্থ্য ডেস্ক, রোগীরা বলে থাকেন ডাক্তার সাহেব আমি তো সারাদিন প্রায় কিছু খাই না। একটু চা, কপি, বিস্কুট আর রাতে বাসায় ফিরে একটু ভাত, মাছ, মাংস তরকারি এই তো। তার পরও ওজন কেন কমছে না। অনেক মহিলা বলে থাকেন সারাদিন শুধু একটু শসা বা গাজর খাই। রাতে ভাত। অনেকে আবার রাতে তেমন কিছু খান না। অনেকে দুপুরে ভাত খান। আর আইসক্রিম, ফাস্টফুড এসব খাবার মেনুর বাইরে থাকে। কেমন হওয়া উচিত খাবার তালিকা। এসব নিয়েও থাকে নানান প্রশ্ন । চিকিৎসকের কাছ থেকে জানা জায় ক্যালরি ঠিক রেখে যতটা খাদ্য নির্বাচন করা যায় ততই ভালো।

যাহোক, ফিরে আসি রাতের খাবার প্রসঙ্গে। রাতে হালকা খাবার আহারের পক্ষে বেশিরভাগ পুষ্টি বিজ্ঞানী। রাতে অধিক আহারে সমস্যা কোথায়। এব্যাপারটিও জানা দরকার। রাতে সাধারণত আমাদের কোনো ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি বা পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না। তাই আমরা আহার থেকে যে খাদ্যশক্তি পাই তা শরীরে জমা হয়। ফলে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া রাতে বেশি আহার করলে সকালে ঘুম থেকে উঠতেও বিলম্ব হয়।

এছাড়া অনেকে লেট নাইটে আহার করেই বিছানায় শরীর এলিয়ে দেন। ফলে খাবার পেটের উপরিভাগে উঠে ডায়াফ্রাম বা মধ্যচ্ছেদায় চাপ দেয়। তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। যাকে বলা হয় হার্ট বার্ন বা বুক জ্বালা-পোড়া। অনেকে এধরনের বুকের ব্যথাকে হার্টের সমস্যা মনে করেন। রাতে খাবার পরিমিত বা কম আহার করলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে ওজন আধিক্য থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।