মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মালয়েশিয়া থেকে : মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সিপাহী জনতা বিপ্লবের নায়ক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রি, গণতন্ত্রের পক্ষে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর ২য় মৃত্যু বার্ষিকি পালন করেছে মালয়েশিয়া বিএনপি। আরাফাত রহমান কোকোর জন্মের পর পবিত্র আরাফাত ময়দানের নামে নাম করন করেন বাবা জিয়াউর রহমান কিন্তু মা বেগম খালেদা জিয়া ফুটফুটে মিষ্টি ছেলেটির আদুরে নাম রাখলেন কোকো, দেশপ্রেমি বাবা সেনা বাহিনীর সিনিয়ার অফিসার হওয়ায় ও দেশে রাজনৈতিক সংকটময় অবস্থায় ব্যাস্ত থাকতে হোত সব সময় তাই শৈশব এবং কৈশর কেটেছে বন্ধু সম বড় ভাই তারেক রহমানের সাথে।১৯৮১ সালের ৩০শে মে বাবার মৃত্যুর পর তিনি হয়ে গেলেন শান্ত স্থবির, বাবার অকাল মৃত্যু তার মনকে দুর্বল করে দেয়, চঞ্চল উদ্দীপ্ত ছেলেটি হয়ে যায় নম্র বিনয়ী। বাবার মৃত্যুর পর পুনরায় দেশে শুরু হোল অস্থিরতা, মাতা বেগম খালেদা জিয়া নামলেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে, দেশের হাল ধরতে। এমতাবস্থায় দেশের লেখাপড়া শেষ করার পর তাকে লেখা পড়ার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় চাচার নিকট সুদুর যুক্তরাজ্যে, তারপর অস্ট্রেলিয়া। লেখা পড়ার খরচ যোগাতে সেখানে পিযাহাটে তিনি শুরু করেন পার্ট টাইম। একাউন্টিং এর উপর উচ্চশিক্ষা লাভ করে দেশ মাতৃকার টানে ছুটে আসেন নিজ দেশে। যুক্তরাজ্যে ও অস্ট্রেলিয়ার মত দেশ ছেড়ে তিনি সাদা মাটা জিবন যাপন করতে ফিরে আসেন নিজ দেশে।
মাতা দেশের প্রধানমন্ত্রি হলেও তার জীবন যাপন ছিল অতি সাধারণ, বাবা মায়ের ও ভাইয়ের আদর্শে জিবনকে করে তুলেছিলেন সুন্দর থেকে সুন্দরতম। বিজ্ঞাপন ব্যাবসার মত সাধারণ ব্যাবসা বেছে নেন তিনি তার কর্ম জীবন হিসাবে।ব্যাবসার পাশাপাশি তিনি খেলাধুলা, সমাজ সেবা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাস্ত রাখতেন নিজেকে। ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও রাজনীতির ছোয়া গায়ে লাগেনি তার, তিনি রাজনীতি থেকে দূরে রেখছিলেন নিজেকে কিন্তু রাজনীতি তার পিছু ছাড়েনি, ২০০৭ সালে অবৈধ সরকার ক্ষমতার অপব্যাবহার করে মিথ্যা দুর্নিতির মামলায় গ্রেফতার করে তাকে। মায়ের সাথে তাকেও গ্রেফতার করে চালনো হয় অমানবিক নির্জাতন, পরিশেষে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, দেশের হাসপাতালে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৭ই জুলাই শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয় তাকে, ১৯শে জুলাই চিকিৎসার জন্য পাড়ি জামন মালয়েশিয়ায়, দেশের বাইরে থাকেলও মিথ্যা মামলায় আদালত তাকে শাস্তি প্রদান করে, সেই থেকে অভিমানি আরাফাত রহমান কোকো সিদ্ধান্ত নেন আর দেশে ফিরবেন না, স্ত্রি শার্মিলা শিথি ও আদরের দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন মালয়েশিয়ায়। অভিমানি কোকো যেন নিজের মনকে কখনো বুঝাতে পারেনি কেন সে নির্বাশিত জীবন যাপন করছে? মা, ভাই, আন্তিয়, বন্ধু সব ছেড়ে তিনি যেন নিজেকে খুজে ফিরছিলেন মাতৃভূমির কোকোকে। অবৈধ সরকারের নির্জাতন শরিরকে করেছিল পঙ্গু, মিথ্যা অপবাদ হৃদয়ে দিয়েছিল ব্যাথা, সেই ব্যাথা সহ্য করার মত ক্ষমতা হারিয়ে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সবাইকে কাদিয়ে ২০১৫ সালের ২৪শে জানুয়ারি তিনি চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে পরপারে। তিনি মৃত্যুবরণ করেও বেচে আছেন তার সুকর্মের মাঝে, দেশ ও জাতী তোমাকে মরতে দেবেনা তোমার ভালবাশা জেগে থাকবে আমাদের হৃদয়ে। দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা সালাহ উদ্দিন এর উপস্থিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে কোরান তেলাওয়াত করেন স্থানীয় এতিম খানা থেকে আগত অসংখ্য এতিম শিশু ও যুবকগণ। মিলাদ ও দোয়া পাঠ করেন হাফেজ মোঃ ওবাইদুল্লাহ রাজু। উপস্থিত ছিলেন কেন্দিয় নেতা সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা মহানগর এম এ কাইয়ুম, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, মালয়েশিয়া বিএনপির সিনিয়ার সহসভাপতি, সহসভাপতি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটি মাহবুব আলম শাহ্, সহসভাপতি হাজী জাকিরুল আলম, সেলিম ভূঁইয়া, আব্দুল জলিল লিটন, সহসাধারন সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির, প্রচার সম্পাদক এস এম বশির আলম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম (রতন), যুব বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম খান, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার(রতন), স্থানীয় সরকার বি. সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস, সহসাংগঠনিক আব্দুল আজিজ, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মঞ্জু খা, তথ্য প্রযুক্তি ও আর্কাইভ সম্পাদক এম ফরহাদ হোসেন, প্রকাশনা বি. সম্পাদক এম ডি মামুন, তথ্য ও গবেষণা বি. সম্পাদক কাইছার হামিদ হান্নান, সহদপ্তর সম্পাদক এ কে এম হাবিবুর রহমান শিশির, সহযুব বি. সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন সাগর, সহঅর্থ সম্পাদক এম এ কালাম, সহতথ্য ও গবেষণা বি. সম্পাদক খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ, সদস্য হাসিবুর রহমান শান্ত, টিপু সুলতান, কে এল সেন্ট্রাল বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক বুকিট বিন্তাং আনোয়ার হোসেন সেলিম, সভাপতি কোতা ডামানসারা মোঃ হজরত আলি, সাংগঠনিক মোঃ শাহ্ আলম, সহসভাপতি যুব দল রাসেল পাটোয়ারি, সহসাধারন সম্পাদক যুব দল নাসির মোল্লা, সহদপ্তর যুব দল শেখ আসাদুজ্জামান মাসুম, যুব দল সেরডাং সভাপতি মোঃ নাযমুল হাসান, সাংগঠনিক মোঃ মোশারফ মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের সভাপতি বাদল আহম্মেদ ও বিভিন্ন অঙ্গ, সহযোগী, শাখা কমিটির নেতাকর্মি বৃন্দ এবং আরাফাত রহমান কোকোর অসংখ্য গুনগ্রাহী।