ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসন রোডের ২০তলা ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দুদকের অভিযান

পুরান ঢাকার জনসন রোডে সরকারি ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে।

জেলা পরিষদের মাধ্যমে পুরান ঢাকার জনসন রোডে বাস্তবায়নাধীন ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সোমবার (১৪ জুলাই) দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযানে টিম রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। পরে টিম জনসন রোডে অবস্থিত নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে। টিম প্রকল্পে স্থবিরতার প্রমাণ পেয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের অভিযানে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালে বর্ণিত ভবনের নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়, যার কাজের মেয়াদ ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৭ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। টিম জানতে পারে, ভবনটির ২০তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হলেও ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ডিটেইল এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা ঠিকাদার/পরামর্শকের কাছেও অনুপস্থিত থাকায় নির্মাণকাজের গুণগতমান যাচাই সম্ভব হয়নি, যা এ প্রকল্পে স্থবিরতার মূল কারণ বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, সোমবার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নানাবিধ হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে টিম বর্ণিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার বিষয়ে কথা বলে। পরিদর্শনে গিয়ে দুদক টিম পচে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া ওষুধের প্যাকেট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের মতো গুরুতর অনিয়ম পাওয়া যায়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযেনে পাওয়া অনিয়মের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনসন রোডের ২০তলা ভবন নির্মাণে অনিয়ম, দুদকের অভিযান

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার জনসন রোডে সরকারি ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে।

জেলা পরিষদের মাধ্যমে পুরান ঢাকার জনসন রোডে বাস্তবায়নাধীন ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সোমবার (১৪ জুলাই) দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ২০তলা আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে নথি গায়েব, অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযানে টিম রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। পরে টিম জনসন রোডে অবস্থিত নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শন করে। টিম প্রকল্পে স্থবিরতার প্রমাণ পেয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের অভিযানে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১২ সালে বর্ণিত ভবনের নির্মাণে কার্যাদেশ দেওয়া হয়, যার কাজের মেয়াদ ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৭ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। টিম জানতে পারে, ভবনটির ২০তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হলেও ২০১৭ সাল থেকে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, ফলে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও অনুমোদিত স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ও ডিটেইল এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বা ঠিকাদার/পরামর্শকের কাছেও অনুপস্থিত থাকায় নির্মাণকাজের গুণগতমান যাচাই সম্ভব হয়নি, যা এ প্রকল্পে স্থবিরতার মূল কারণ বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, সোমবার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নানাবিধ হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের শুরুতে টিম বর্ণিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার বিষয়ে কথা বলে। পরিদর্শনে গিয়ে দুদক টিম পচে যাওয়া ও নষ্ট হওয়া ওষুধের প্যাকেট এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের মতো গুরুতর অনিয়ম পাওয়া যায়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযেনে পাওয়া অনিয়মের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত চেয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।