ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। যদিও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের ২০ শতাংশ ও এলএনজির ৩০ শতাংশ এই প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত হয়। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে জ্বালানি সরবরাহে বড় ধাক্কা লাগবে এবং বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে—মনে করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন।
তিনি বলেন, “ইরান যদি প্রণালি বন্ধ রাখে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা চেষ্টা করবে এটি খুলে দিতে। তবে কিছুদিনের জন্য বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেবে।”
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গ্যাস আমদানিতে এ প্রণালির গুরুত্ব বেশি। কাতার থেকে এলএনজি এই পথেই আসে। তাই সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হলে সংকট বাড়বে। তেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরাসরি হরমুজ নির্ভর না হলেও, সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে আমদানি হওয়ায় পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়বে।
ড. ইজাজ আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত ও স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি জরুরি। ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু আমরা উদ্যোগ নেইনি।”
উন্নত দেশের তুলনায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো এই সংকটে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে মনে করেন তিনি। কারণ, “উন্নত দেশ দাম বাড়লেও টিকে থাকতে পারে, কিন্তু আমরা আটকে যাই প্রাইসেই।”