কি কমু…… দ্যাহেন স্যার……? সরকারী রাস্তার উপর ২/৩ হাত জায়গা নিয়া ব্যবসা করি। এইহানে বহনের সময় অগোরে ৫০,০০০/- ট্যাকা দিছি। ডেইলি ২০০/- ট্যাকা থেইকা ৩০০/- ট্যাকা চাঁদা তো আছেই। একদিন চাঁদার ট্যাকা না দিলে দোকানের মালপত্র ছড়াইয়া ছিটাইয়া ফালাইয়া দেয়। মাঝে-মইধ্যে পুলিশ দিয়া ধরাইয়াও দেয়।
রাজধানীর মিরপুরে ফুটপাতে চাঁদাবাজির তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে চিড়িয়াখানা রোডের বক্সনগরের একজন ফুটপাত ব্যবসায়ী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ভয়ানক ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে আড়ালে ডেকে নিয়ে এসব কথা বলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই ফুটপাত ব্যবসায়ী আরও বলেন, এই বক্সনগর কাঁচাবাজারে আমরা যারা ব্যবসা করি; তাগো বেবাকতেরই বাজারে বহনের সময় এহানকার আ’লীগ নেতা শেখ মান্নানরে ৫০,০০০/- ট্যাকা থেইকা শুরু কইরা ২,০০,০০০/- ট্যাকা পর্যন্ত দিতে অইছে। উনিই পুলিশ-টুলিশ বেবাক ম্যানেজ করে।
এদিকে মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজারের চাঁদাবাজির বাস্তবতা আরও ভয়ংকর! এইখানে কারা চাঁদাবাজি করে তা সবাই জানে। আপনার মত অনেক সাংবাদিকই আইছে আমাগো কাছে। তারা সবাই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। আমাগো দুঃখ ও দুর্দশার কথা কেউ লেখে নাই। আমরা আপনারে তাগো নাম কইলে ওরা আইসা আমাগো দোকানপাট ভাংচুর করলে আপনি কি ঠেকাইতে পারবেন? তহনতো আপনারে খুঁইজাই পাওয়া যাবে না। আপনি যান তো ভাই ……….!
Imageএই বিশালাকার কাঁচাবাজারের সহ¯্রাধিক আড়ৎদারদের নিকট থেকে হিটলার কালু, কথিত যুবলীগ নেতা নয়ন, হান্নান, রিয়াজ, আকবর ও আরব আলী মাদবরসহ তাদের সহযোগীরা পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের দেওয়ার কথা বলে দোকান প্রতি ২০,০০০/- টাকা থেকে ৪,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত জামানত বা এ্যাডভান্স নিয়েই বাজার বসিয়েছে। প্রতিদিন ২০০/- থেকে ৫০০/- টাকা নিয়মিত চাঁদাতো রয়েছেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোটা মিরপুরে মূল সড়ক সহ ফুটপাত দখল করে বিশালাকার বাজার বসায় অসহনীয় যানযটসহ নানা দূর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, অসংখ্য গার্মেন্টস কর্মী সহ মিরপুরের কয়েক লক্ষ সাধারন গণমানুষ। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র রাজধানীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও মিরপুুরের স্থানীয় নেতাগণ তার কোন তোয়াক্কাই করছেন না।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ৯৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন স্বদুত্তর না দিয়ে আচমকা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার আ’লীগের নেতা হিসেবে এইটুকু সুবিধাতো নিতেই পারি। যান শেখ হাসিনার কাছে বিচার দেন।
সাধারন জনগণের দূর্ভোগ নিরসনে কি করণীয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এদেশের সাংবাদিকরা হলো “কুত্তার জাত” একটু হাড্ডি দেখাইলে হাজার হাজার সাংবাদিককে পকেটে নিয়ে ঘোরা যায়। সাংবাদিকের কাজ লেখালেখি করা, আপনি লেখেন। যা ইচ্ছা তাই করেন।