সুইজারল্যান্ডে বরফ নিয়ে খেলছেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা
শেখ হাসিনার হাতে বরফ। হাত এগিয়ে যাচ্ছে ছোটবোন শেখ রেহানার দিকে। ছোটবোনের গায়ে মাখিয়ে দেবেন বুঝি। তবে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনার নিজের ওভারকোটের এখানে ওখানে বরফ লেগে আছে। কালো ওভারকোটের ওপর সাদা শুভ্র বরফ। আর রেহানার লাল ওভারকোট একেবারে ফ্রেশ।
হতে পারে একটু পরেই তার কোটেও লেগে গেছে সাদা বরফের ছোয়া। দুই বোনের মুখে মুক্তোঝরা হাসি।
এসবের সাক্ষী হয়ে দুজন সেখানে। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী আরেকজন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
পরপর চারটি ছবি তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা
প্রথমটিতে চারজনই দাঁড়িয়ে। শেখ রেহানা ও মাহমুদ আলী ক্যামেরায় তাকিয়ে। তবে শেখ হাসিনা কিছু একটা বলছেন জুনায়েদ পলককে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা
দ্বিতীয় ছবিটিতে শুধু দুই বোনের। সাদা বরফের বিশাল গালিচার ওপর দাঁড়িয়ে দুই বোন। পেছনে সাদা হয়ে বরফে ঢেকে থাকা পাহাড়। শেখ হাসিনা পরম আদরে শেখ রেহানার কাঁধে হাত দিয়ে বুকের কাছে টেনে এনেছেন। দুই বোনের মুখেই একই শুভ্র হাসি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা
তৃতীয় ছবিটিতে শেখ হাসিনার হাতে কিছু বরফ, আর তার ওভারকোট ও শাড়িতে জড়িয়ে রয়েছে সাদা বরফ। শেখ রেহানার হাত ওভারকোটের পকেটে। তাহলে শেখ হাসিনার ওভারকোটে বরফ এলো কোথা থেকে। হতে পারে শেখ রেহানাই তা মাখিয়ে দিয়ে নিজের হাত লুকিয়েছেন পকেটে। আর বোনের গায়ে মাখিয়ে দেবেন বলে হয়তো নিজেও হাতে তুলে নিয়েছেন কিছু বরফ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা
চতূর্থ ছবিতে তারই অ্যাকশক বোঝা যাচ্ছে। শেখ হাসিনার হাত এগিয়ে যাচ্ছে শেখ রেহানার দিকে।
তবে এরপর কি হলো! ফেসবুকে পাওয়া চারটি ছবি থেকে তা বোঝার উপায় নেই। তবে এটা নিশ্চিত সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোটবোনকে নিয়ে বরফে ঢাকা দেশটির এই সময়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বের হয়েছিলেন। আর তখনই তাদের এই বরফ নিয়ে খেলা।
শেখ রেহানা থাকেন যুক্তরাজ্যে। ইউরোপের যে কোনও দেশে বড়বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই কোনও কর্মসূচিতে যান ছুটে আসেন শেখ রেহানা। সামান্য যতটুকু অবসর তাই দুই বোনের একান্তে কাটে। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৭তম বার্ষিক সভায় অংশ নিতে পাঁচ দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।