ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই লাশে কাতর ওসমানীনগর

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 698


ওয়েছ খছরু ও জয়নাল আবেদীন, সিলেট থেকে :শোকে কাতর ওসমানীনগর। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় গোটা উপজেলাবাসী। আর মাত্র ৬ দিন পর ভোট। এরই মধ্যে দুই জনের মৃত্যুতে অবাধ ও সুষ্ঠুু নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় ঘিরে ধরেছে। ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে ওসমানীনগরের সাদিপুরে রক্তের হোলিখেলা হয়েছে। অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন এলাকার মানুষ। এবারও ঘুরে-ফিরে সেই একই দৃশ্যপট। তবে নির্বাচনে ভোটারের আস্থা ফেরাতে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নজর দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতারাও। সিলেটের ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা। একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকা এটি। ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুরের মিলনস্থল হওয়ায় ওই এলাকায় প্রশাসনের নজরদারিও তেমনটি নেই। এ কারণে দুই উপজেলার অস্ত্রবাজদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। রোববার সকালে ওই এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ছাত্র। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে রাতে সোহেল মিয়া নামের
আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হলো। সোহেল মিয়ার শরীরও ছিল বুলেটবিদ্ধ। এদিকে সাইফুল খুনের পর সোহেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোহেলের বয়স ৩৫ বছর। একজন দরিদ্র সবজি বিক্রেতা। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু বেপরোয়া গুলি বর্ষণের কারণেই সে নিহত হয়েছে বলে জানান এলাকার মানুষ। নিহত সোহেল দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের মাহমুদ মিয়ার ছেলে। গতকাল বিকালে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানিয়েছেন- সোহেল সহ দুইজন ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট পুলিশ করেছে। আর এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। তাদের বক্তব্যের সূত্র ধরে এলাকার অস্ত্রবাজদের সন্ধানে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন- সন্ত্রাসীদের কোনো ভাবে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। নিহত সাইফুলের লাশের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলে শোকাতুর পরিবেশ বিরাজ করে। তার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এলাকার মানুষ। দুপুরে জানাজার নামাজে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেন। এ সময় তারা এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন- অপরাধীদের কোনো ভাবে ছাড় দেয়া হবে না। যারা দুটি খুনের ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিকে, রোববার থেকে ওসমানীনগর থানা ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশের দুটি টিম বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি কয়েকটি টিম অস্ত্রবাজের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। সূত্রে জানা গেছে- বাংলাবাজার এলাকায় এর আগেও একাধিক ঘটনায় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। গ্রামভিত্তিক সংঘর্ষে আগেও গুলি হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনেকেই। এখনও তুচ্ছ কারণে অস্ত্রের ব্যবহার হয়। ওই এলাকার সাবেক মেম্বার আরজু, বাহার ও আহবাবের কাছে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। রোববার সংঘর্ষের সময় ওই অস্ত্রগুলোর ব্যবহার করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যে নিহত ও আহতদের পরিবারের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এদিকে- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটছে সিলেটের ওসমানীনগরে। সাইফুল খুনের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের জন্য রাত ৮টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন আহমদকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সময় এডিশনাল এসপি সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছিলেন- ‘কবির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হয়নি। স্রেফ তথ্যের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর রটানো হয়। এবং তার অনুসারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। পরে রাতে অবশ্য কবির উদ্দিন আহমদকে ছেড়ে দেয়া হয়।’ কবির উদ্দিনের আটকের খবর পেয়ে আওয়ামী যুবলীগের কর্মীরা দয়ামীর, শেরপুর, সাদীপুর, বেগমপুর, গোয়ালাবাজার ও উনিশ মাইল এলাকার সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে কবির উদ্দিনকে ছেড়ে দেয়া হলে অবরোধ তুলে নেন নেতা-কর্মীরা। এদিকে- দুই খুনের ঘটনায় গতকাল রাত পর্যন্ত ওসমানীনগর থানায় মামলা হয়নি। ওসি আবদুল আউয়াল চৌধুরী জানিয়েছেন- নিহত কিংবা আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন- পরিবার থেকে মামলা না করলে পুলিশ মামলা করবে। কোনো ভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ৬ই মার্চ সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনিত শিব্বির আহমদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলাবাসীর মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আতাউর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এমন ঘটনায় এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ট্যাগস :

দুই লাশে কাতর ওসমানীনগর

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


ওয়েছ খছরু ও জয়নাল আবেদীন, সিলেট থেকে :শোকে কাতর ওসমানীনগর। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় গোটা উপজেলাবাসী। আর মাত্র ৬ দিন পর ভোট। এরই মধ্যে দুই জনের মৃত্যুতে অবাধ ও সুষ্ঠুু নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় ঘিরে ধরেছে। ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে ওসমানীনগরের সাদিপুরে রক্তের হোলিখেলা হয়েছে। অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন এলাকার মানুষ। এবারও ঘুরে-ফিরে সেই একই দৃশ্যপট। তবে নির্বাচনে ভোটারের আস্থা ফেরাতে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নজর দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতারাও। সিলেটের ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা। একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকা এটি। ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুরের মিলনস্থল হওয়ায় ওই এলাকায় প্রশাসনের নজরদারিও তেমনটি নেই। এ কারণে দুই উপজেলার অস্ত্রবাজদের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। রোববার সকালে ওই এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছে সাইফুল ইসলাম নামের এক ছাত্র। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে রাতে সোহেল মিয়া নামের
আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হলো। সোহেল মিয়ার শরীরও ছিল বুলেটবিদ্ধ। এদিকে সাইফুল খুনের পর সোহেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোহেলের বয়স ৩৫ বছর। একজন দরিদ্র সবজি বিক্রেতা। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু বেপরোয়া গুলি বর্ষণের কারণেই সে নিহত হয়েছে বলে জানান এলাকার মানুষ। নিহত সোহেল দক্ষিণ কালনীচর গ্রামের মাহমুদ মিয়ার ছেলে। গতকাল বিকালে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানিয়েছেন- সোহেল সহ দুইজন ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট পুলিশ করেছে। আর এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। তাদের বক্তব্যের সূত্র ধরে এলাকার অস্ত্রবাজদের সন্ধানে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন- সন্ত্রাসীদের কোনো ভাবে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। নিহত সাইফুলের লাশের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হলে শোকাতুর পরিবেশ বিরাজ করে। তার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এলাকার মানুষ। দুপুরে জানাজার নামাজে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেন। এ সময় তারা এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন- অপরাধীদের কোনো ভাবে ছাড় দেয়া হবে না। যারা দুটি খুনের ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদিকে, রোববার থেকে ওসমানীনগর থানা ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশের দুটি টিম বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি কয়েকটি টিম অস্ত্রবাজের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। সূত্রে জানা গেছে- বাংলাবাজার এলাকায় এর আগেও একাধিক ঘটনায় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। গ্রামভিত্তিক সংঘর্ষে আগেও গুলি হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনেকেই। এখনও তুচ্ছ কারণে অস্ত্রের ব্যবহার হয়। ওই এলাকার সাবেক মেম্বার আরজু, বাহার ও আহবাবের কাছে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। রোববার সংঘর্ষের সময় ওই অস্ত্রগুলোর ব্যবহার করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যে নিহত ও আহতদের পরিবারের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। এদিকে- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা ঘটনা ঘটছে সিলেটের ওসমানীনগরে। সাইফুল খুনের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের জন্য রাত ৮টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কবির উদ্দিন আহমদকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সময় এডিশনাল এসপি সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছিলেন- ‘কবির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হয়নি। স্রেফ তথ্যের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর রটানো হয়। এবং তার অনুসারীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। পরে রাতে অবশ্য কবির উদ্দিন আহমদকে ছেড়ে দেয়া হয়।’ কবির উদ্দিনের আটকের খবর পেয়ে আওয়ামী যুবলীগের কর্মীরা দয়ামীর, শেরপুর, সাদীপুর, বেগমপুর, গোয়ালাবাজার ও উনিশ মাইল এলাকার সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে কবির উদ্দিনকে ছেড়ে দেয়া হলে অবরোধ তুলে নেন নেতা-কর্মীরা। এদিকে- দুই খুনের ঘটনায় গতকাল রাত পর্যন্ত ওসমানীনগর থানায় মামলা হয়নি। ওসি আবদুল আউয়াল চৌধুরী জানিয়েছেন- নিহত কিংবা আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন- পরিবার থেকে মামলা না করলে পুলিশ মামলা করবে। কোনো ভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। আগামী ৬ই মার্চ সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি মনোনিত শিব্বির আহমদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলাবাসীর মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আতাউর রহমান ও বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এমন ঘটনায় এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।