ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নাচ ও অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবরিনা সাফি করিম নিসা। এরই মধ্যে অনেক ধারাবাহিক ও খণ্ডনাটকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে একজন সু-অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। পাশাপাশি নাচও চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। বর্তমানে তিনি শিশু একাডেমির নাচের শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত। সব মিলিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন নিসা। তার এ সময়ের ব্যস্ততা, নতুন কাজ এবং অভিনয় ও নাচের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন সাবরিনা সাফি করিম নিসা। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কি অবস্থা? কেমন চলছে সবকিছু?
খুব ভালো। ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। আমি কাজ উপভোগ করতে পছন্দ করি। কারণ উপভোগ না করলে সে কাজে সফলতা পাওয়া যায় না।
ব্যস্ততা কি নিয়ে?
আমার ক্যারিয়ারে গেল কোরবানির ঈদে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছি নাচ নিয়ে। অনেক চ্যানেলে নাচের অনুষ্ঠান করেছি। সে কারণে নাটকে বেশি একটা কাজ করা হয়নি। ঈদের মাত্র তিনটি নাটকে অভিনয় করেছি। ঈদের পরও নাচ নিয়ে ব্যস্ততা বেশ। যেমন দুর্গাপূজায় রাজারবাগ কালী মন্দিরে চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য করলাম। এখানে গুরুপার চরিত্রটি করেছি আমি। আর নবমীতে বনানী পূজামণ্ডপে পারফর্ম করেছি। আর দশমীতে স্বামীকে নিয়ে ঘুরেছি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। অনেক উপভোগ করেছি।
নতুন নাটকের খবর কি?
বিটিভির একটি নাটকে কাজ করলাম। নাম ‘ছোবল’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। চলতি মাসের ৩০ তারিখ থেকে এটি প্রচার শুরু হবে। এছাড়া আরও কিছু খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটকে কাজ করার কথা চলছে। ব্যাটে-বলে মিললেই করে ফেলবো।
খণ্ড না ধারাবাহিক নাটকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
আমি ধারাবাহিক নাটকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি বেশি। ধারাবাহিক নাটক করতেও আমার ভালো লাগে। তৃপ্তির একটা জায়গা এখানে খুঁজে পাই। কারণ ধারাবাহিক নাটকে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ বেশি। সময়টা বেশি, তাই নিজেকে মেলে ধরার জায়গাটাও বেশি।
অভিনয়ে যারা নতুন আসছে, তারা কেমন করছে?
নতুনরা ভালো করছে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে স্ক্রিপ্টের ওপর ওয়ার্কআউটটা বাড়াতে। মাসের ৩০ দিন কাজ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। ২০ দিন কাজ করে যদি কোয়ালিটি কাজ দেয়া যায় আমার কাছে সেটাই অগ্রগণ্য। আমি মনে করি ব্যস্ত থাকার মাঝে সফলতা থাকে না। সফলতা নির্ভর করে ভালো কাজের ওপর।
আর নাচের ক্ষেত্রে?
এখন বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে শুধু অর্থ আয়ের জন্যই নাচে আসছে। অনেকে নাচে আসছে তারকাখ্যাতি পাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমি নাচে এসেছিলাম ভালোবাসার জায়গা থেকে। শেখার একটা ব্যাপার ছিলো। আমি বলবো উদ্দেশ্য যাই থাকুক অন্তত সঠিকভাবে শিখেই নাচের পেশায় আসা উচিত।
মিডিয়ায় কাজ করার ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্ট কেমন ছিল?
শতভাগ পারিবারিক সাপোর্ট ছিল। আমার বাবা-মা এবং এখন স্বামী আমাকে প্রচুর সহযোগিতা করেন। আমার শ্বশুরবাড়ির সবাইও অনেক উৎসাহ দেয় আমাকে।
বিয়ের তো ৩ বছর হয়ে এলো। বিয়ের আগের নাকি পরের জীবন বেশি উপভোগ করছেন?
বিয়ের আগের জীবন একরকম ভালো ছিল, আর পরের জীবন আরেকরকম ভালো। আমার স্বামী কাজের ক্ষেত্রে আমাকে দারুণ সহযোগিতা করে। এর চেয়ে বেশি আর কি চাই।
সংবাদ শিরোনাম ::
‘ধারাবাহিক নাটকে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার সুযোগ বেশি’
-
প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ১১:২৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫
- 336
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ