ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

নতুন বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে শঙ্কা!

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 346

নতুন বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে শঙ্কা!
উদিসা ইসলাম


বাল্যবিয়ের প্রতীকী ছবি
বাল্যবিয়ে ও মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি এবং ধর্ষণের শিকার নারীর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের শঙ্কা থাকলেও ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল ২০১৭’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। এ নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, কোনও যুক্তি না শুনে সরকার অনেকটা জনবিচ্ছিন্নভাবে আইনটি পাস করেছে। তাদের দাবি, মেয়ের বিয়ের বয়স ১৮ লেখা থাকলেও পরিবারগুলো মেয়েকে আগে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ বিধান’ প্রয়োগ করবে।

বিশেষ প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছাড় দেওয়ার বিধান আছে বহুল আলোচিত এ বিলে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সোমবার বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।

সংসদে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, ‘বিশেষ বিধানের এই সুযোগ যে কেউ চাইলেই পাবে না। কোনও অনভিপ্রেত ঘটনার ক্ষেত্রে পিতামাতা বা বৈধ অভিভাবক এবং আদালতের সম্মতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কেউ বিয়ে দিতে পারবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে নারীনেত্রী খুশি কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দেশের ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিবারগুলোর সচেতনতার মাত্রা সরকারের জানার কথা। পিতামাতারা বেশি বয়সী মেয়েকে যৌতুক দিতে হয় এমন ভাবনা থেকে এখনও বের হতে পারেননি। বিশেষ পরিস্থিতির কথা শুনিয়ে মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো এখন থেকে প্রতিনিয়ত ঘটতে দেখবেন।’

বিশেষ বিধানের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে সোমবার সংসদে মেহের আফরোজ বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। আমরা কন্যাদের সুরক্ষার জন্যই এই ধারা রেখেছি।’ সেই সুরক্ষা কী ধরনের প্রশ্নে তিনি একাধিকবার বলেছেন বিবাহের আগে সম্পর্ক স্থাপন এবং গর্ভধারণের শঙ্কার কথা। তবে খুশি কবীর প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ‘কম বয়সী মেয়েকে বিশেষ বিধানে বিয়ে দেওয়ার ফলে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না, বরং বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়বে। ধর্ষণের শিকার নারীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না।’

এই বিধানের সুযোগে বাংলাদেশে বাল্য বিয়ে উৎসাহিত হবে আশঙ্কা করে তা বাতিলের দাবি তুলেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

গত নভেম্বরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আইনটি প্রত্যাখানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া ‘সাংঘর্ষিক’ উল্লেখ করে একটি সেমিনারে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া এ আইন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি, অবিলম্বে এ আইন পরিবর্তনের দাবি করছি। কেননা বাল্যবিয়ে ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় পাস হওয়া এ আইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে রোধ নয়, বরং আরও বাড়বে।’

নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের ধারণা, সঠিক প্রচারণা না থাকলে এই আইন বাল্য বিবাহকে উৎসাহিত করবে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের যে কোনও ইস্যুতে প্রচারণা এবং মনিটরিং দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে অপারদর্শী। বেসরকারি সংস্থাগুলো ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে না দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। তারপরও সেটি নিশ্চিত না হতেই বিশেষ বিধান রেখে ১৮ বছরের নীচে বিয়ের বৈধতা দেওয়ার ফলে বাল্য বিবাহ বাড়বে, এটা কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

জেণ্ডার বিশ্লেষক ও লেখক চিররঞ্জন সরকার শুরু থেকেই আইনটির নানা দুর্বলতা নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬’ শীর্ষক আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারায় ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে উল্লেখ আছে। ‘অপ্রাপ্তবয়স্কের’ ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ রক্ষার বিষয়টি খুবই ধোঁয়াশাপূর্ণ একটি কথা। কম বয়সী কোনও মেয়ের সর্বোত্তম স্বার্থ কে এবং কিভাবে নির্ধারণ করবেন! এই আইন যে খুবই বিপজ্জনক হয়ে সমাজে হাজির হতে পারে, সেই শঙ্কা রয়েই গেল।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটনও আইনটি নিয়ে শঙ্কিত। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার শঙ্কা, নতুন আইনটি ধর্ষণকে বৈধতা দেবে। আমাদের আইনে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের বিষয়টা একটা মাইলফলকে রূপ নিয়েছিল। এ সময়ে এসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। মানবাধিকারকর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ মামলা আপোষ হতে দেখেছি। এই বিশেষ বিধান আসলেই ধর্ষণকে বৈধতা দেবে কিনা, সেই প্রশ্ন নিয়েই এখন সামনের সময়ে মনিটরিং এর কাজ করতে হবে।’

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

নতুন বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে শঙ্কা!

আপডেট সময় : ০২:৪০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নতুন বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে শঙ্কা!
উদিসা ইসলাম


বাল্যবিয়ের প্রতীকী ছবি
বাল্যবিয়ে ও মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি এবং ধর্ষণের শিকার নারীর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের শঙ্কা থাকলেও ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল ২০১৭’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। এ নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের মতে, কোনও যুক্তি না শুনে সরকার অনেকটা জনবিচ্ছিন্নভাবে আইনটি পাস করেছে। তাদের দাবি, মেয়ের বিয়ের বয়স ১৮ লেখা থাকলেও পরিবারগুলো মেয়েকে আগে বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বিশেষ বিধান’ প্রয়োগ করবে।

বিশেষ প্রেক্ষাপটে নারী-পুরুষের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছাড় দেওয়ার বিধান আছে বহুল আলোচিত এ বিলে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সোমবার বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। আইনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আগের মতো ১৮ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।

সংসদে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, ‘বিশেষ বিধানের এই সুযোগ যে কেউ চাইলেই পাবে না। কোনও অনভিপ্রেত ঘটনার ক্ষেত্রে পিতামাতা বা বৈধ অভিভাবক এবং আদালতের সম্মতি লাগবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কেউ বিয়ে দিতে পারবে না।’

প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে নারীনেত্রী খুশি কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দেশের ম্যাজিস্ট্রেট এবং পরিবারগুলোর সচেতনতার মাত্রা সরকারের জানার কথা। পিতামাতারা বেশি বয়সী মেয়েকে যৌতুক দিতে হয় এমন ভাবনা থেকে এখনও বের হতে পারেননি। বিশেষ পরিস্থিতির কথা শুনিয়ে মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো এখন থেকে প্রতিনিয়ত ঘটতে দেখবেন।’

বিশেষ বিধানের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে সোমবার সংসদে মেহের আফরোজ বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। আমরা কন্যাদের সুরক্ষার জন্যই এই ধারা রেখেছি।’ সেই সুরক্ষা কী ধরনের প্রশ্নে তিনি একাধিকবার বলেছেন বিবাহের আগে সম্পর্ক স্থাপন এবং গর্ভধারণের শঙ্কার কথা। তবে খুশি কবীর প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ‘কম বয়সী মেয়েকে বিশেষ বিধানে বিয়ে দেওয়ার ফলে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না, বরং বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়বে। ধর্ষণের শিকার নারীকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না।’

এই বিধানের সুযোগে বাংলাদেশে বাল্য বিয়ে উৎসাহিত হবে আশঙ্কা করে তা বাতিলের দাবি তুলেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

গত নভেম্বরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আইনটি প্রত্যাখানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া ‘সাংঘর্ষিক’ উল্লেখ করে একটি সেমিনারে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া এ আইন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি, অবিলম্বে এ আইন পরিবর্তনের দাবি করছি। কেননা বাল্যবিয়ে ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় পাস হওয়া এ আইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে রোধ নয়, বরং আরও বাড়বে।’

নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের ধারণা, সঠিক প্রচারণা না থাকলে এই আইন বাল্য বিবাহকে উৎসাহিত করবে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের যে কোনও ইস্যুতে প্রচারণা এবং মনিটরিং দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে অপারদর্শী। বেসরকারি সংস্থাগুলো ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে না দিতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল। তারপরও সেটি নিশ্চিত না হতেই বিশেষ বিধান রেখে ১৮ বছরের নীচে বিয়ের বৈধতা দেওয়ার ফলে বাল্য বিবাহ বাড়বে, এটা কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

জেণ্ডার বিশ্লেষক ও লেখক চিররঞ্জন সরকার শুরু থেকেই আইনটির নানা দুর্বলতা নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৬’ শীর্ষক আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারায় ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে উল্লেখ আছে। ‘অপ্রাপ্তবয়স্কের’ ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ রক্ষার বিষয়টি খুবই ধোঁয়াশাপূর্ণ একটি কথা। কম বয়সী কোনও মেয়ের সর্বোত্তম স্বার্থ কে এবং কিভাবে নির্ধারণ করবেন! এই আইন যে খুবই বিপজ্জনক হয়ে সমাজে হাজির হতে পারে, সেই শঙ্কা রয়েই গেল।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটনও আইনটি নিয়ে শঙ্কিত। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার শঙ্কা, নতুন আইনটি ধর্ষণকে বৈধতা দেবে। আমাদের আইনে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের বিষয়টা একটা মাইলফলকে রূপ নিয়েছিল। এ সময়ে এসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভীষণ বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। মানবাধিকারকর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ মামলা আপোষ হতে দেখেছি। এই বিশেষ বিধান আসলেই ধর্ষণকে বৈধতা দেবে কিনা, সেই প্রশ্ন নিয়েই এখন সামনের সময়ে মনিটরিং এর কাজ করতে হবে।’