ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 1159


বরিশালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরে আলমের স্ত্রী সুরভী আক্তার মনি’র গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর কাশীপুর মদিনা সড়কের ভূঁইয়া বাড়ির মো. দিদারের দোতলা ভবনের একটি ভাড়া ফ্লাট থেকে সুরভীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

সুরভীর খালা জানান, নূরে আলমের আগের একটি বিয়ে রয়েছে। ওই সংসারে তার তিনটি সন্তান। প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে নূরে আলম। সুরভীরও আগের বিয়ে ছিল। ওই সংসারের স্বামীকে তালাক দিয়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ নুরে আলমের সাথে বছরখানের আগে থেকে বসবাস শুরু করে সুরভী।

সুরভীর ভাই ও মামার দাবি, নূরে আলম-সুরভী দম্পতির দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। বিয়ের পর যৌতুক দাবিতে প্রায়ই সুরভীর উপর নির্যাতন করতো স্বামী নূরে আলম। তাদের দাবি সুরভীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাঁজানো হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং নূর আলমের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

তবে বিষয়টি স্রেফ আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন সুরভীর স্বামী এসআই নূরে আলম। তার ভাষ্য, মনি অত্যন্ত বদ মেজাজী। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী নগরীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রাথমিক অবস্থায় বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


বরিশালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরে আলমের স্ত্রী সুরভী আক্তার মনি’র গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর কাশীপুর মদিনা সড়কের ভূঁইয়া বাড়ির মো. দিদারের দোতলা ভবনের একটি ভাড়া ফ্লাট থেকে সুরভীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

সুরভীর খালা জানান, নূরে আলমের আগের একটি বিয়ে রয়েছে। ওই সংসারে তার তিনটি সন্তান। প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করে নূরে আলম। সুরভীরও আগের বিয়ে ছিল। ওই সংসারের স্বামীকে তালাক দিয়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ নুরে আলমের সাথে বছরখানের আগে থেকে বসবাস শুরু করে সুরভী।

সুরভীর ভাই ও মামার দাবি, নূরে আলম-সুরভী দম্পতির দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। বিয়ের পর যৌতুক দাবিতে প্রায়ই সুরভীর উপর নির্যাতন করতো স্বামী নূরে আলম। তাদের দাবি সুরভীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাঁজানো হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং নূর আলমের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

তবে বিষয়টি স্রেফ আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন সুরভীর স্বামী এসআই নূরে আলম। তার ভাষ্য, মনি অত্যন্ত বদ মেজাজী। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী নগরীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রাথমিক অবস্থায় বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।