ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধ্বস্ত বিমানের খোঁজে সাগরের নেমে ডুবুরির মৃত্যু

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮
  • 392

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার অভিযানে এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে।শ্বাস বন্ধ হয়ে ওই ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার দেশটির নেভির অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিভাগের কমান্ডার ইসওয়ার্তো স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিহত ওই ডুবুরির নাম সাচরুল আন্তো (৪৮)। শুক্রবার উদ্ধার অভিযানচলাকালীন তিনি শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টায় দিনের আলো কমে যাওয়ার কারণে উদ্ধারাভিযান বন্ধ করা হয়। কিন্তু সাচরুল আন্তো বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সমুদ্র তলেই অবস্থান করছিলেন।

পরে রাত ৯টা ৩০মিনিটে তাকে পাওয়া গেলে দ্রুত জাহাজে করে জার্কাতা ইন্টারন্যাশনাল কন্টেইনার টার্মিনালেন নিয়ে যাওয়া হয়।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ট্রিবিউন জাকার্তায় প্রকাশ, রাত ১০টা ১০ মিনিটে ওই ডুবুরিকে কোজা ডিস্ট্রিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কমান্ডার ইসওয়ার্তো আরও জানান, চার বছর আগে এয়ার এশিয়ার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় সফলভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা ছিল এই ডুবুরির। এ কারণেই লায়ন এয়ার উদ্ধার কার্যে তাকা ডাকা হয়েছিল।নিহত আন্তোর বন্ধু ইউসুফ সাফরুদ্দিন তার এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ডুবুরি আন্তো সবেমাত্র পালুর মিশন শেষ করে বাড়ি ফিরেছিলেন।

ইউসুফ লিখেন, আন্তো একজন বীর ও অভিজ্ঞ ডুবুরি ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা থেকে উড্ডয়ন করা ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি এক ঘণ্টা পর ৭টা ২০ মিনিটে পাংকাল মিনাং বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর থেকে এটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই এটি জাকার্তা উপকূলে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটিতে দুই নবজাতক,এক শিশু,দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন।বিমানটি দুর্ঘটনার পর তার সন্ধানে ব্যাপক পরিসরে উদ্ধার অভিযানে নামে কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে জাভা সাগরের তলদেশ থেকে প্লেনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়।গত বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর)জেটি-৬১০ ফ্লাইটের কমলা রঙের একটি ব্লাক বক্স উদ্ধার করা হয়।ডুবুরিদের এসব সফল অভিযানের মধ্যেই শুক্রবার এক ডুবুরির মৃত্যু ঘটল।

ট্যাগস :

বিধ্বস্ত বিমানের খোঁজে সাগরের নেমে ডুবুরির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০২:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার অভিযানে এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে।শ্বাস বন্ধ হয়ে ওই ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার দেশটির নেভির অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিভাগের কমান্ডার ইসওয়ার্তো স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিহত ওই ডুবুরির নাম সাচরুল আন্তো (৪৮)। শুক্রবার উদ্ধার অভিযানচলাকালীন তিনি শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টায় দিনের আলো কমে যাওয়ার কারণে উদ্ধারাভিযান বন্ধ করা হয়। কিন্তু সাচরুল আন্তো বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সমুদ্র তলেই অবস্থান করছিলেন।

পরে রাত ৯টা ৩০মিনিটে তাকে পাওয়া গেলে দ্রুত জাহাজে করে জার্কাতা ইন্টারন্যাশনাল কন্টেইনার টার্মিনালেন নিয়ে যাওয়া হয়।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ট্রিবিউন জাকার্তায় প্রকাশ, রাত ১০টা ১০ মিনিটে ওই ডুবুরিকে কোজা ডিস্ট্রিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

কমান্ডার ইসওয়ার্তো আরও জানান, চার বছর আগে এয়ার এশিয়ার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় সফলভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা ছিল এই ডুবুরির। এ কারণেই লায়ন এয়ার উদ্ধার কার্যে তাকা ডাকা হয়েছিল।নিহত আন্তোর বন্ধু ইউসুফ সাফরুদ্দিন তার এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ডুবুরি আন্তো সবেমাত্র পালুর মিশন শেষ করে বাড়ি ফিরেছিলেন।

ইউসুফ লিখেন, আন্তো একজন বীর ও অভিজ্ঞ ডুবুরি ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা থেকে উড্ডয়ন করা ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি এক ঘণ্টা পর ৭টা ২০ মিনিটে পাংকাল মিনাং বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পর থেকে এটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই এটি জাকার্তা উপকূলে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটিতে দুই নবজাতক,এক শিশু,দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন।বিমানটি দুর্ঘটনার পর তার সন্ধানে ব্যাপক পরিসরে উদ্ধার অভিযানে নামে কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে জাভা সাগরের তলদেশ থেকে প্লেনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়।গত বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর)জেটি-৬১০ ফ্লাইটের কমলা রঙের একটি ব্লাক বক্স উদ্ধার করা হয়।ডুবুরিদের এসব সফল অভিযানের মধ্যেই শুক্রবার এক ডুবুরির মৃত্যু ঘটল।