ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপ দুর্নীতি : জার্মান ফুটবল ফেডারেশনে পুলিশি অভিযান

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫
  • 356

বিশ্বকাপ আয়োজনে অবৈধ সুবিধা আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি) এবং ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। আয়কর ফাকির অভিযোগে এই অভিযান চালানো হলেও, ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজনে অবৈধ সুবিধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ডিএফবি’র বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত একজন মহিলা মুখপাত্র জানান, ডিএফবি সদর দপ্তরের পাশাপাশি ফেডারেশনের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন ডিএফবির বর্তমান সভাপতি, সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সেই হিসেবে ধারনা করা যায় ডিএফবির বর্তমান সভাপতি উলফগ্যাং নিয়ের্সবাচ, তার পূর্বসূরি জিওয়ানজিগের এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক হর্সট স্কিমিড বাসায় এই তল্লাশি পরিচালনা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, এ তল্লাশিতে আয়কর ফাকির গুরুতর অভিযোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আয়কর ফাকির পরিমাণ আনুমানিক ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো।

সংবাদ বিষয়ক ম্যগাজিন দার স্পিয়েগেল এর গত মাসের সংখ্যায় বলা হয়েছে ফিফাকে যে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করেছে তা মূলত: নিশ্চিতভাবে ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজক হবার জন্য।

যদিও ওই অভিযোগ নীতিগতভাবে অস্বীকার করেছেন নিয়ের্সবাচ। তার দাবী ফিফার জন্য একটি বড়সড় তহবিল গঠনের কাজে ওই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে নিয়ের্সবাচ মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ এনে জিওয়ানজিগের বলেছেন যে এটি পরিষ্কার যে বিশ্বকাপের বিডিং প্রক্রিয়ায় জার্মানের পক্ষে অনুমোদনের জন্য ঘুষ হিসেবে এই ফান্ড ব্যবহৃত হয়েছে।

ট্যাগস :

বিশ্বকাপ দুর্নীতি : জার্মান ফুটবল ফেডারেশনে পুলিশি অভিযান

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০১৫

বিশ্বকাপ আয়োজনে অবৈধ সুবিধা আদায়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি) এবং ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। আয়কর ফাকির অভিযোগে এই অভিযান চালানো হলেও, ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজনে অবৈধ সুবিধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ডিএফবি’র বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত একজন মহিলা মুখপাত্র জানান, ডিএফবি সদর দপ্তরের পাশাপাশি ফেডারেশনের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন ডিএফবির বর্তমান সভাপতি, সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সেই হিসেবে ধারনা করা যায় ডিএফবির বর্তমান সভাপতি উলফগ্যাং নিয়ের্সবাচ, তার পূর্বসূরি জিওয়ানজিগের এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক হর্সট স্কিমিড বাসায় এই তল্লাশি পরিচালনা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, এ তল্লাশিতে আয়কর ফাকির গুরুতর অভিযোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আয়কর ফাকির পরিমাণ আনুমানিক ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো।

সংবাদ বিষয়ক ম্যগাজিন দার স্পিয়েগেল এর গত মাসের সংখ্যায় বলা হয়েছে ফিফাকে যে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করেছে তা মূলত: নিশ্চিতভাবে ২০০৬ বিশ্বকাপ আয়োজক হবার জন্য।

যদিও ওই অভিযোগ নীতিগতভাবে অস্বীকার করেছেন নিয়ের্সবাচ। তার দাবী ফিফার জন্য একটি বড়সড় তহবিল গঠনের কাজে ওই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে নিয়ের্সবাচ মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ এনে জিওয়ানজিগের বলেছেন যে এটি পরিষ্কার যে বিশ্বকাপের বিডিং প্রক্রিয়ায় জার্মানের পক্ষে অনুমোদনের জন্য ঘুষ হিসেবে এই ফান্ড ব্যবহৃত হয়েছে।