ঢাকা ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বনাথে নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮
  • 288

নিউজ ডেস্ক:: সিলেটের সুরমা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথের মাহতাবপুর, মাধবপুর ও সিলেট সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মৎস্যজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের গুলচন্দ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন লোক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মাহতাবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের পুত্র জুয়েল মিয়া (২০), একই গ্রামের শরিফ উদ্দিনের পুত্র ইব্রাহিম আলী (১৮), সমছুল হকের পুত্র জাকির মিয়া (২৬), মাধবপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র হুসাইন আহমদ (১৩), একই গ্রামের আমির আলীর পুত্র লায়েছ মিয়া (২৫), সমর আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮), মৃত হুসিয়ার আলীর পুত্র গৌছ উদ্দিন (৩৫) ও অটোরিক্সা চালক বারিক মিয়া (৩২)। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে,মাহতাবপুর এলাকায় সুরমা নদীতে মাছ শিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাহতাবপুর ও ফতেহপুর-মাধবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাহতাবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের বাঁধা দেন ফতেহপুর-মাধবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা।এক পর্যায়ে মাছ ধরতে যাওয়া লোকজনদেরকে ধাওয়া করে বাঁধা প্রদানকারী গ্রামের লোকজন নদী পাড়ি দিয়ে গোলচন্দ বাজারে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন লোক আহত হন।

মাহতাবপুর গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, সুরমা নদীর সপ্তম খন্ড (আতাপুর ডহর থেকে মাধবপুর ডহর পর্যন্ত) আমরা মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল তাদের ব্যক্তিস্বার্থে নদীতে কাঁটা-বাঁশ ফেলে রাখে এবং মাছ ধরতে আমাদের নিষেধ করে আসছে।এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বুধবার সকালে আমাদের গ্রামের মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে মাধবপুর গ্রামের মশাহিদ আলী, বাদুল্লাহ, লাল মিয়া ও ফতেহপুর গ্রামের মনু মিয়া, ছৈদুর রহমানরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন।

মাধবপুর গ্রামের মশাহিদ আলী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার নিরীহ দরিদ্র মৎস্যজীবীরা নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্ত বশির মিয়ারা নদীতে বাঁশ ফেলে রেখে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে নিষেধ করে আসছেন। বুধবার আমরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন।

ট্যাগস :

বিশ্বনাথে নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেট সময় : ০৩:৫০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

নিউজ ডেস্ক:: সিলেটের সুরমা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথের মাহতাবপুর, মাধবপুর ও সিলেট সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মৎস্যজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের গুলচন্দ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন লোক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মাহতাবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের পুত্র জুয়েল মিয়া (২০), একই গ্রামের শরিফ উদ্দিনের পুত্র ইব্রাহিম আলী (১৮), সমছুল হকের পুত্র জাকির মিয়া (২৬), মাধবপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র হুসাইন আহমদ (১৩), একই গ্রামের আমির আলীর পুত্র লায়েছ মিয়া (২৫), সমর আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮), মৃত হুসিয়ার আলীর পুত্র গৌছ উদ্দিন (৩৫) ও অটোরিক্সা চালক বারিক মিয়া (৩২)। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে,মাহতাবপুর এলাকায় সুরমা নদীতে মাছ শিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাহতাবপুর ও ফতেহপুর-মাধবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাহতাবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের বাঁধা দেন ফতেহপুর-মাধবপুর গ্রামের মৎস্যজীবীরা।এক পর্যায়ে মাছ ধরতে যাওয়া লোকজনদেরকে ধাওয়া করে বাঁধা প্রদানকারী গ্রামের লোকজন নদী পাড়ি দিয়ে গোলচন্দ বাজারে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন লোক আহত হন।

মাহতাবপুর গ্রামের বশির উদ্দিন বলেন, সুরমা নদীর সপ্তম খন্ড (আতাপুর ডহর থেকে মাধবপুর ডহর পর্যন্ত) আমরা মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল তাদের ব্যক্তিস্বার্থে নদীতে কাঁটা-বাঁশ ফেলে রাখে এবং মাছ ধরতে আমাদের নিষেধ করে আসছে।এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বুধবার সকালে আমাদের গ্রামের মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে মাধবপুর গ্রামের মশাহিদ আলী, বাদুল্লাহ, লাল মিয়া ও ফতেহপুর গ্রামের মনু মিয়া, ছৈদুর রহমানরা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন।

মাধবপুর গ্রামের মশাহিদ আলী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার নিরীহ দরিদ্র মৎস্যজীবীরা নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্ত বশির মিয়ারা নদীতে বাঁশ ফেলে রেখে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে নিষেধ করে আসছেন। বুধবার আমরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন।