ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

‘বোমা আর ডিম মেরে উন্নয়ন বন্ধ হবে না’

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫
  • 347

2055
দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটি ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার হোটেল সোনারগাঁও এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের পানি শোধনাগার উদ্বোধন শেষে নিজ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের হোসেনী দালানে যে ছেলেটা মারা গেছে সে কিন্তু শিয়া না, সুন্নি। যে কয়জন আহত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্নি মুসলমান। আমাদের যেকোন অনুষ্ঠান সবাই মিলিতভাবেই করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ ধরনের হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কখন? যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটাই বলতে চাই, দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটা ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, ঢাকার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পানির সমস্যা সমাধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যশলদিয়ায় এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মিত হলে আরও ৪৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায় চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে চালু করা হয় পর্যায়-২ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ঢাকায় পানির চাহিদা ছিল ২১২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে আমরা পেতাম ৮৮ কোটি লিটার। এখন ২০১৫ সালে আমরা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানি পাচ্ছি। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চেয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নানা উপকারী দিকও আলোকপাত করেন।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

‘বোমা আর ডিম মেরে উন্নয়ন বন্ধ হবে না’

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

2055
দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটি ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার হোটেল সোনারগাঁও এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের পানি শোধনাগার উদ্বোধন শেষে নিজ বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের হোসেনী দালানে যে ছেলেটা মারা গেছে সে কিন্তু শিয়া না, সুন্নি। যে কয়জন আহত হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্নি মুসলমান। আমাদের যেকোন অনুষ্ঠান সবাই মিলিতভাবেই করে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ ধরনের হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কখন? যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটাই বলতে চাই, দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটা ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, ঢাকার জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার পানির সমস্যা সমাধানে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পদ্মা পানি শোধনাগার প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যশলদিয়ায় এখন যেটা নির্মিত হচ্ছে, সেটা প্রথম পর্যায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়টি নির্মিত হলে আরও ৪৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। তখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের প্রথম পর্যায় চালু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে চালু করা হয় পর্যায়-২ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ঢাকায় পানির চাহিদা ছিল ২১২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে আমরা পেতাম ৮৮ কোটি লিটার। এখন ২০১৫ সালে আমরা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার পানি পাচ্ছি। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের চেয়ে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বৃষ্টির পানি ব্যবহারের নানা উপকারী দিকও আলোকপাত করেন।