ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : না ফেরার দেশে অফিস সহকারী মাসুমা

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাসুমা (৩৮) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ছিলেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত ৫ দিন তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে, আজ সকালে ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জারিফও মারা যায়।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে ও দুপুরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী—আইমান (১০) ও মাকিন (১৩)—মারা গেছে। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

শনিবার সকাল পর্যন্ত সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ দুর্ঘটনায় রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় অর্ধশত। নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (অজ্ঞাতনামা) এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : না ফেরার দেশে অফিস সহকারী মাসুমা

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাসুমা (৩৮) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ছিলেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান।

তিনি জানান, মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গত ৫ দিন তিনি এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে, আজ সকালে ৪০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জারিফও মারা যায়।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে ও দুপুরে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী—আইমান (১০) ও মাকিন (১৩)—মারা গেছে। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

শনিবার সকাল পর্যন্ত সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ দুর্ঘটনায় রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় অর্ধশত। নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (অজ্ঞাতনামা) এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।