ভালোবাসার রঙ লাল। লাল রঙে নিজেকে সাজাতে যে কোন নারীই ভালোবাসেন। মূলত লাল লিপস্টিককে ক্লাসিক রঙ ধরা হয়। কারন এই লিপস্টিক অন্যধরনের আকর্ষণ তৈরি করে চেহারায়। তবে সত্য কথা বলতে কি মেকআপের টুকটাক বিষয়গুলো ঠিকঠাক না থাকলে লাল রঙটা মাঝে মাঝে বেমানান লাগে। আসুন আজ জেনে নেওয়া যাক লাল লিপস্টিক এর সাথে কি ধরনের সাজ মানানসই।
প্রথমে বেস ঠিক করুনঃ আপনার মুখের ত্বকের বেসটা প্রথমে ঠিক করে নিন। ভালো করে মুখ ধুয়ে মশ্চেরাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর প্রাইমার, ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার লাগান ধাপে ধাপে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে ম্যাট জাতীয় ফাউন্ডেশন ব্যাবহার করুন। এতে মেকআপ সেট হয়ে থাকবে দীর্ঘক্ষণ।
আই ভ্রু এবং চোখের সাজঃ প্রথমে কাজল দিয়ে আই ভ্রু জোড়া সুন্দর করে এঁকে নিন। অনেকে বেশ গাঢ় করে ভ্রু আঁকেন। এমনটা না করাই শ্রেয়। কেননা ভ্রুর সৌন্দর্য কমে গেলে আপনার পুরো মেকআপই বৃথা হয়ে যাবে। ভ্রু আঁকা শেষে ছোট ভ্রু আচড়ানোর চিরুনি দিয়ে সুন্দর করে ভ্রু আচড়ে নিন।
লাল লিপস্টিকের সাথে ম্যাট জাতীয় আইশ্যাডোই বেশি মানানসই। তাই আপনার পছন্দ মত আই শ্যাডো পরে নিন। লাল লিপস্টিকের সাথে স্মোকি আই মেকআপে অন্যরকম মাত্রা এনে দেয়। আইশ্যাডো দেয়া শেষে আইল্যাশ লাগানোর কাজ। যদি আপনি ছোটখাট কোন অনুষ্ঠানের জন্য সাজেন তবে সাধারণ মাশকারাই যথেষ্ট আপনার চোখের পাপড়ি সাজাতে। আর যদি কোন পার্টি বা বিয়ের অনুষ্ঠানে যান তবে এক জোড়া আই ল্যাশ পরে নিতে পারেন।
ব্লাশন এবং ব্রোঞ্জারের ব্যবহারঃ চোখের সাজের পর একটা ফ্লাপি ব্রাশে সোনালী ব্লাশন নিয়ে হালকা করে আপনার চিকবোন, থুতনির দুপাশে এবং কলার বোনে লাগিয়ে নিন। চিক বোনে ব্লাশন দেয়ার সময় ব্রাশটা গোলাকার করে ঘুরিয়ে লাগাবেন।
এরপর উজ্জ্বল বর্নের ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নিবেন। যা আপনার চেহারাকে আরো বেশি উজ্জ্বল করে তুলবে। এক্ষেত্রে একটু লিকুইড ব্রোঞ্জার এবং একটু ব্রোঞ্জার পাউডার মিলিয়ে লাগাতে পারেন।
এবার সময় লাল লিপস্টিকেরঃ
যার জন্য এত সাজ এখন সময় সেই প্রিয় লাল লিপস্টিক লাগানোর। সুন্দর করে দুই কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিন ঠোটে।
বিশেষ টিপসঃ লিপস্টিক লাগানোর কিছু সময় পর অনেকের লিপস্টিক মুছে যায়। দীর্ঘক্ষণ লিপস্টিক ঠোটে রাখতে চাইলে এরপর লিপস্টিক দেয়ার পর ঠোটে একটা ট্যিসু চেপে ধরে তার উপর কিছুটা ট্যালকম পাউডার ঘষে নিবেন। অনেকটা সময় লিপস্টিক সেট হয়ে থাকবে।