আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও মদদে সীমাহীন অপরাধ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ দেরিতে হলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। জাপানের এনএইচকে টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
জারিফ বলেন, সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক সরকারকে নগ্নভাবে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। আর এই সমর্থন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ইরানের সংসদ স্পিকারের বিশেষ সহকারি আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, মার্কিন সমর্থনে ইয়েমেন ও বাহরাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে সৌদি আরব। একইসঙ্গে জামাল খাশোগিকেও তারা নির্মমভাবে হত্যাও করলো। এ অবস্থায় দেশটিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাসোগি।শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করছিল,খাসোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি ঘাতক টিমের সদস্যরা হত্যা করেছে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে কোথাও ফেলে দিয়েছে।
গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে রোষানলে পড়েন ৫৯ বছর বয়সী খাসোগি।তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এ যুবরাজের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লিখেছিলেন খাশোগি।অভিযোগ রয়েছে, যুবরাজের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে মরদেহ হস্তান্তরের দাবি উঠেছে।তার স্বজন ও বন্ধুরা বলেছেন,আমরা খাশোগির লাশ চাই।তার মরদেহ ফিরিয়ে দিন,আমরা তাকে দাফন করব।