ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

‘যদি হবে প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস?’

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫
  • 273

1427
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছেন তারা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শাহবাগ এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। আজ শুক্রবার বিকালে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে টানা ১৩তম দিবসে গতকাল কর্মসূচি পালিত হয়। দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান তারা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে মিছিল পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই তারা দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘যদি হবে প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস?’, ‘প্রহসনের পরীক্ষা মানি না মানব না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট রি-এক্সাম’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একদল শিক্ষার্থী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। শাহবাগে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সংহতি জানান গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারও। ইমরান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেডিক্যালে পড়তে আসে। কেনই বা এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো, কেনই বা মেডিক্যাল শিক্ষাকে ধ্বংস করার এই ষড়যন্ত্র? দেশের স্বাস্থ্যখাত ও সাধারণ জনগণের সুচিকিত্সা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুমন হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি পালন করেছি। কুমিল্লা, ময়মনসিংহ কয়েকটি জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। আন্দোলনরতদের পক্ষে তিনি ঘোষণা করেন আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে দাবির পক্ষে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অংশগ্রহণ করতে দেশের নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকসহ ছাত্র সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এদিকে বেলা পৌনে ১টার দিকে শহীদ মিনারে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা দুই পক্ষের মধ্যে ব্যানার নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে আগে থেকে ‘শিক্ষায় নৈরাজ্য বন্ধ কর’ লেখা একটা ব্যানার ছিল শিক্ষার্থীদের কাছে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে। ছাত্র-অভিভাবক ঐক্য ফোরামের নামে ওই ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়’। এ সময় কোন ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হবে, তা নিয়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মতভেদ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কির পর ব্যানার ছাড়াই আন্দোলনরতরা শাহবাগের দিকে সবাই মিছিল নিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভর্তিচ্ছু ছাত্র বলেন, ‘কয়েকজন বড় ভাই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলন দুর্বল ও নস্যাত্ করতে চাইছেন’।

পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। পরে তারা শাহবাগের দিকে আসে। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে তীব্র যানজট তৈরি হত। তাই তাদেরকে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে বাধা দেয়া হয় এবং সেখানেই সমাবেশ করতে অনুরোধ জানানো হয়।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

‘যদি হবে প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস?’

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫

1427
মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট করেছেন তারা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শাহবাগ এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। আজ শুক্রবার বিকালে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে টানা ১৩তম দিবসে গতকাল কর্মসূচি পালিত হয়। দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান তারা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে মিছিল পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানেই তারা দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘যদি হবে প্রশ্নফাঁস, পড়ব কেন ১২ মাস?’, ‘প্রহসনের পরীক্ষা মানি না মানব না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট রি-এক্সাম’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একদল শিক্ষার্থী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। শাহবাগে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সংহতি জানান গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারও। ইমরান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেডিক্যালে পড়তে আসে। কেনই বা এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো, কেনই বা মেডিক্যাল শিক্ষাকে ধ্বংস করার এই ষড়যন্ত্র? দেশের স্বাস্থ্যখাত ও সাধারণ জনগণের সুচিকিত্সা নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুমন হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা ঢাকা অভিমুখী কর্মসূচি পালন করেছি। কুমিল্লা, ময়মনসিংহ কয়েকটি জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। আন্দোলনরতদের পক্ষে তিনি ঘোষণা করেন আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে দাবির পক্ষে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অংশগ্রহণ করতে দেশের নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকসহ ছাত্র সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এদিকে বেলা পৌনে ১টার দিকে শহীদ মিনারে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা দুই পক্ষের মধ্যে ব্যানার নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে আগে থেকে ‘শিক্ষায় নৈরাজ্য বন্ধ কর’ লেখা একটা ব্যানার ছিল শিক্ষার্থীদের কাছে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করে। ছাত্র-অভিভাবক ঐক্য ফোরামের নামে ওই ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়’। এ সময় কোন ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হবে, তা নিয়ে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মতভেদ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কির পর ব্যানার ছাড়াই আন্দোলনরতরা শাহবাগের দিকে সবাই মিছিল নিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভর্তিচ্ছু ছাত্র বলেন, ‘কয়েকজন বড় ভাই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলন দুর্বল ও নস্যাত্ করতে চাইছেন’।

পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। পরে তারা শাহবাগের দিকে আসে। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে তীব্র যানজট তৈরি হত। তাই তাদেরকে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে বাধা দেয়া হয় এবং সেখানেই সমাবেশ করতে অনুরোধ জানানো হয়।