ঢাকা ০৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবাননে বাংলাদেশীদের অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদের নামে সবাই ছিঃ ছিঃ করবে

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৭
  • 464

জসিম উদ্দীন সরকার, লেবানন থেকে:( মা ) পৃথিবীর সর্বশেষ্ট্র ডাক, কবি বলেছেন, মা কথাটি ছোট্র অতি কিন্তু জেন ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই। দশ মাস দশ দিন গর্ভে রেখে মা জন্ম দেন তার সন্তান কে, আর সেই সন্তান জন্মদিতে গিয়ে কতইনা ব্যথা ব্যদনা সইতে হয়। আর সেই মা নিজের যৌবনের তারনায়কি করে পারে পরকিয়ায় টানে নিজের সন্তান কে হত্যাকরতে।
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পার্শ্ববর্তী এলাকা শৈফাতে। বাংলাদেশী এক মহিলা কর্মী তার দেড় বছরের সন্তানকে হত্যা করে ডাস্টবিনে ফেলে রেখে যায় তার পরকিয়া সাথীর কথায়। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার রুমা আক্তার ও তার প্রেমিক নান্নু মিয়া দুজনে মিলে সন্তানটিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শৈফাত এলাকায় বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুমা লেবানন আসার পর লেবাননের জন্য একজনের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকেন, বিয়ে না হলেও তারা স্বামী-স্ত্রী বলে চালিয়ে দেয়। রুমা আর তার সেই কথিত স্বামীর অজান্তে রুমার গর্ভে আসে একটি সন্তান। রুমার স্বামী সন্তান ফেলেদিতে বললেও রুমা তা নাকরে সন্তান জন্মদেয়, আর সেই থেকে সেই কথিত স্বামী রুমাকে ছেড়ে চলে যায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই রুমা নান্নুর সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুজনের নতুন পরিচয় হয় স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু যত সমস্যা সন্তানটি, নান্নু কিছুতেই সন্তানটিকে মেনে নিতে পারছিলনা, তাই দুজন মিলে সন্তানটিকে হত্যা করে ময়লার সাথে পলেথিনে ভড়ে জিবালায় ( ডাস্টবিনে ) ফেলে রেখে তার সেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
অন্যদিকে পলিথিনে মোরানো শিশু সন্তানটি এক পথচারীর নজরে আসলে ধীরে ধীরে এলাকার লেবানীস, প্রবাসীসহ সর্বস্থরে জানাজানি হয়েগেলে বাংলাদেশ যারা রুমার সাথে ছিলেন তারা মৃত সন্তানকে চিনতে পারেন। সাথে সাথে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। মৃত শিশুটির গলায় এবং যৌনাঙ্গে আগাতে চিহ্ন রেয়েছে।
অন্যদিকে বহু খুঁজাখুঁজির পর রুমা এবং নান্নুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন লেবাননের পুলিশ।
এদিকে লেবানন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লেবানন বাংলাদেশী প্রবাসীরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এবং তারা রুমা এবং নান্নুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন।
অন্য দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্তলিয়াছ এলাকার একজন জানান, বাংলাদেশর বরিশাল জেলার হোসনেয়ারা নামে একটি মেয়ে লেবানন আইন কানুন ছাড়াই বিয়ে করেন, মেয়েটি বর্তমানে ৯মাসের গর্ভবতী, মেয়েটির কথিত স্বামী লেবানন কাগজ পত্র বিহীন অবৈধ থাকায় লেবানন থেকে চলে যায়, দেশে যাবার পর মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তাই মেয়েটি চিন্তা করছেন সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে রেখে কোথাও ফেলে পালিয়ে যাবেন। এমনকি জানিয়ে দিয়েছেন কেউ যদি তার সন্তান গ্রহন করতে চান, দিয়ে দিবেন।
হাদাত নামক এলাকায় এক সন্তানকে ফেলে পালিয়েছে বাবা-মা, জানাযায় তাদের সম্পর্কটাও অবৈধ ছিল, সন্তানটিকে বাংলাদেশ এক মহিলা লালন পালন করলেও তিনি নিজেই আকামা বিহীন অবৈধ, সেই বাবা মাকে কোথায় খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সন্তানটিকে নিয়ে এখন বিপাকে পালক মা।
রুমী এলাকায় এক বাংলাদেশী পাগল মহিলা একটি বাচ্চার জন্ম দেন, কে তার পিতা তিনি নিজেও জানেন না। খবর পেয়ে পুলিশ তার বাচ্চাটি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে লেবানন সরকারের আইন অনুযায়ী কর্মের জন্য আসা শ্রমিকদের সন্তান নেয়া নিষেধ রয়েছে।
এসকল বিষয়ে কথা বলি প্রবাসী কমিউনিটি নেতাসৈয়দ আমীর হোসেনের সাথে, তিনি বলেন,লেবাননে যা শুরু হয়েছে তাতে অবৈধ (বিয়ে বিহীন) স্বামী স্ত্রীদের জন্য যারা আসল স্বামী-স্ত্রী তাদের সমস্যা বাড়ছে। লেবানন সরকারের নিষেধ সত্যেও অনেকে সন্তান নিয়ে থাকেন, এসব অবৈধ কর্মকা- জন্য যারা বৈধ তাদের সন্তানদের সমস্যা বাড়েই চলেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশীমহিলারাএখনশুধুবাংলাদেশীদেরসাথেনয়, অনেকেসিরিয়ান, ইনডিয়ান, সুদানী, মিশরীদেরসাথেঅবৈধসম্পর্কগড়েতুলেছে, তাদের কিছু বলতে গেলে উল্টো অপমান হতে হয়। সবাই এক কথাই বলেন, আমার টাকা দিয়ে আমি বিদেশ এসেছি আপনাদের সমস্যা কোথায়।আরএসবেরকারনেতাদেরনয়, বরংবাংলাদেশেরবদনামহচ্ছে।আইনকানুনেরতুয়াক্কানাকরেইকাজীসেজেবিয়েপড়িয়েদেন এমন কিছু লোক সমাজকে আরো বিপথে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু বখসিশের জন্য তারা বিয়ে পরিয়ে দেন,পরেদেখাযায়মেয়েরদেশেস্বামীরয়েছে, ছেলেরওস্ত্রীরয়েছে। আরআগেএসবলেবানিসরানাজানলেওএখনপ্রায়লোকেইজানাজানি হয়ে গেছেবাংলাদেশীরাস্বামী-স্ত্রীনন, অবৈধভাবেথাকেন, আরএখনলেবাননেরপ্রশাসনজানতেশুরুকরেছে।
কমিউনিটির এই নেতা মনে করেন, এসব কঠিত হস্তে দমন না করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নামে সবাই ছিছি করবে। আর সম্মান নিয়ে বাংলাদেশীদের লেবানন বসবাস করাটাও কঠিন হয়ে পরবে।

ট্যাগস :

লেবাননে বাংলাদেশীদের অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদের নামে সবাই ছিঃ ছিঃ করবে

আপডেট সময় : ০৬:১৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৭

জসিম উদ্দীন সরকার, লেবানন থেকে:( মা ) পৃথিবীর সর্বশেষ্ট্র ডাক, কবি বলেছেন, মা কথাটি ছোট্র অতি কিন্তু জেন ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই। দশ মাস দশ দিন গর্ভে রেখে মা জন্ম দেন তার সন্তান কে, আর সেই সন্তান জন্মদিতে গিয়ে কতইনা ব্যথা ব্যদনা সইতে হয়। আর সেই মা নিজের যৌবনের তারনায়কি করে পারে পরকিয়ায় টানে নিজের সন্তান কে হত্যাকরতে।
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পার্শ্ববর্তী এলাকা শৈফাতে। বাংলাদেশী এক মহিলা কর্মী তার দেড় বছরের সন্তানকে হত্যা করে ডাস্টবিনে ফেলে রেখে যায় তার পরকিয়া সাথীর কথায়। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার রুমা আক্তার ও তার প্রেমিক নান্নু মিয়া দুজনে মিলে সন্তানটিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শৈফাত এলাকায় বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, রুমা লেবানন আসার পর লেবাননের জন্য একজনের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকেন, বিয়ে না হলেও তারা স্বামী-স্ত্রী বলে চালিয়ে দেয়। রুমা আর তার সেই কথিত স্বামীর অজান্তে রুমার গর্ভে আসে একটি সন্তান। রুমার স্বামী সন্তান ফেলেদিতে বললেও রুমা তা নাকরে সন্তান জন্মদেয়, আর সেই থেকে সেই কথিত স্বামী রুমাকে ছেড়ে চলে যায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই রুমা নান্নুর সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুজনের নতুন পরিচয় হয় স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু যত সমস্যা সন্তানটি, নান্নু কিছুতেই সন্তানটিকে মেনে নিতে পারছিলনা, তাই দুজন মিলে সন্তানটিকে হত্যা করে ময়লার সাথে পলেথিনে ভড়ে জিবালায় ( ডাস্টবিনে ) ফেলে রেখে তার সেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
অন্যদিকে পলিথিনে মোরানো শিশু সন্তানটি এক পথচারীর নজরে আসলে ধীরে ধীরে এলাকার লেবানীস, প্রবাসীসহ সর্বস্থরে জানাজানি হয়েগেলে বাংলাদেশ যারা রুমার সাথে ছিলেন তারা মৃত সন্তানকে চিনতে পারেন। সাথে সাথে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। মৃত শিশুটির গলায় এবং যৌনাঙ্গে আগাতে চিহ্ন রেয়েছে।
অন্যদিকে বহু খুঁজাখুঁজির পর রুমা এবং নান্নুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন লেবাননের পুলিশ।
এদিকে লেবানন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লেবানন বাংলাদেশী প্রবাসীরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এবং তারা রুমা এবং নান্নুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন।
অন্য দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্তলিয়াছ এলাকার একজন জানান, বাংলাদেশর বরিশাল জেলার হোসনেয়ারা নামে একটি মেয়ে লেবানন আইন কানুন ছাড়াই বিয়ে করেন, মেয়েটি বর্তমানে ৯মাসের গর্ভবতী, মেয়েটির কথিত স্বামী লেবানন কাগজ পত্র বিহীন অবৈধ থাকায় লেবানন থেকে চলে যায়, দেশে যাবার পর মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তাই মেয়েটি চিন্তা করছেন সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে রেখে কোথাও ফেলে পালিয়ে যাবেন। এমনকি জানিয়ে দিয়েছেন কেউ যদি তার সন্তান গ্রহন করতে চান, দিয়ে দিবেন।
হাদাত নামক এলাকায় এক সন্তানকে ফেলে পালিয়েছে বাবা-মা, জানাযায় তাদের সম্পর্কটাও অবৈধ ছিল, সন্তানটিকে বাংলাদেশ এক মহিলা লালন পালন করলেও তিনি নিজেই আকামা বিহীন অবৈধ, সেই বাবা মাকে কোথায় খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। সন্তানটিকে নিয়ে এখন বিপাকে পালক মা।
রুমী এলাকায় এক বাংলাদেশী পাগল মহিলা একটি বাচ্চার জন্ম দেন, কে তার পিতা তিনি নিজেও জানেন না। খবর পেয়ে পুলিশ তার বাচ্চাটি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে লেবানন সরকারের আইন অনুযায়ী কর্মের জন্য আসা শ্রমিকদের সন্তান নেয়া নিষেধ রয়েছে।
এসকল বিষয়ে কথা বলি প্রবাসী কমিউনিটি নেতাসৈয়দ আমীর হোসেনের সাথে, তিনি বলেন,লেবাননে যা শুরু হয়েছে তাতে অবৈধ (বিয়ে বিহীন) স্বামী স্ত্রীদের জন্য যারা আসল স্বামী-স্ত্রী তাদের সমস্যা বাড়ছে। লেবানন সরকারের নিষেধ সত্যেও অনেকে সন্তান নিয়ে থাকেন, এসব অবৈধ কর্মকা- জন্য যারা বৈধ তাদের সন্তানদের সমস্যা বাড়েই চলেছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশীমহিলারাএখনশুধুবাংলাদেশীদেরসাথেনয়, অনেকেসিরিয়ান, ইনডিয়ান, সুদানী, মিশরীদেরসাথেঅবৈধসম্পর্কগড়েতুলেছে, তাদের কিছু বলতে গেলে উল্টো অপমান হতে হয়। সবাই এক কথাই বলেন, আমার টাকা দিয়ে আমি বিদেশ এসেছি আপনাদের সমস্যা কোথায়।আরএসবেরকারনেতাদেরনয়, বরংবাংলাদেশেরবদনামহচ্ছে।আইনকানুনেরতুয়াক্কানাকরেইকাজীসেজেবিয়েপড়িয়েদেন এমন কিছু লোক সমাজকে আরো বিপথে নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু বখসিশের জন্য তারা বিয়ে পরিয়ে দেন,পরেদেখাযায়মেয়েরদেশেস্বামীরয়েছে, ছেলেরওস্ত্রীরয়েছে। আরআগেএসবলেবানিসরানাজানলেওএখনপ্রায়লোকেইজানাজানি হয়ে গেছেবাংলাদেশীরাস্বামী-স্ত্রীনন, অবৈধভাবেথাকেন, আরএখনলেবাননেরপ্রশাসনজানতেশুরুকরেছে।
কমিউনিটির এই নেতা মনে করেন, এসব কঠিত হস্তে দমন না করা গেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নামে সবাই ছিছি করবে। আর সম্মান নিয়ে বাংলাদেশীদের লেবানন বসবাস করাটাও কঠিন হয়ে পরবে।