ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

শাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮, তদন্ত কমিটি গঠন

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭
  • 385

শাবি সংবাদদাতা:: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বুুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রুপককে মারধর করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের কর্মীরা। পরে ঘটনাটি আবাসিক হলগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১২টার দিকে শাহপরাণ হলে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। এ সময় উভয়পক্ষ সহ অন্যান্য গ্রুপের অন্তত ১৮ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

আহতরা হলেন, জুবায়ের, মনিরুজ্জামান মনির, সুমন তালুকদার, মৃন্ময় দাস ঝুটন, ফিরোজ, উজ্জ্বল সাহা, নাহিদ, পিয়াস, মুনকির, জয়, ইয়ামিন, পাপলু, শিহাব, শামসুল, জাহিদ, মনোয়ার হোসেন, সিমান্ত ও আদনান প্রমুখ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নাহিদ, উজ্জ্বল ও মুনকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। ঘটনার পরে জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল শাহপরাণ হলের সামনে আসে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় শাহপরাণ হলের সহকারী প্রভোস্ট আশীষ কুমার বণিককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রভোস্ট আবুল হাসনাত ও ফেরদৌস আলম।

জালালবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, যে বা যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, গতকাল রাতে গেটে হাতাহাতির ঘটনায় আমরা সিনিয়ররা মিমাংসার জন্য বসেছিলাম। এসময় তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন জানান, এটা তেমন গুরুতর কিছু নয়। আর কেউ অভিযোগও করেনি। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকালে হাসপাতালে যেয়েও কাউকে পাইনি। সাংবাদিকরা আমাকে জানালে ভাল হত, এটাও তাদের একটা দায়িত্ব ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

শাবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮, তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০৬:২০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭

শাবি সংবাদদাতা:: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

বুুধবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রুপককে মারধর করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের কর্মীরা। পরে ঘটনাটি আবাসিক হলগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১২টার দিকে শাহপরাণ হলে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। এ সময় উভয়পক্ষ সহ অন্যান্য গ্রুপের অন্তত ১৮ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

আহতরা হলেন, জুবায়ের, মনিরুজ্জামান মনির, সুমন তালুকদার, মৃন্ময় দাস ঝুটন, ফিরোজ, উজ্জ্বল সাহা, নাহিদ, পিয়াস, মুনকির, জয়, ইয়ামিন, পাপলু, শিহাব, শামসুল, জাহিদ, মনোয়ার হোসেন, সিমান্ত ও আদনান প্রমুখ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নাহিদ, উজ্জ্বল ও মুনকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। ঘটনার পরে জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল শাহপরাণ হলের সামনে আসে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় শাহপরাণ হলের সহকারী প্রভোস্ট আশীষ কুমার বণিককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহকারী প্রভোস্ট আবুল হাসনাত ও ফেরদৌস আলম।

জালালবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, যে বা যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, গতকাল রাতে গেটে হাতাহাতির ঘটনায় আমরা সিনিয়ররা মিমাংসার জন্য বসেছিলাম। এসময় তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন জানান, এটা তেমন গুরুতর কিছু নয়। আর কেউ অভিযোগও করেনি। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকালে হাসপাতালে যেয়েও কাউকে পাইনি। সাংবাদিকরা আমাকে জানালে ভাল হত, এটাও তাদের একটা দায়িত্ব ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।