ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীনরা’

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫
  • 326

2046
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান-স্ট্র্যাটফোর। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পর, বাংলাদেশ এবার নিজস্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করছে। বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের ইসলামী শরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে ঢাকার মনোযোগ দেশটির প্রলম্বিত রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উগ্রপন্থার দিকে সরে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো গোষ্ঠীসমূহকে টার্গেট করছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় শাসকদল আওয়ামী লীগ। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকার নয়াদিল্লির সমর্থন কামনা অব্যাহত রাখবে। তীব্রমাত্রার সহিংসতায়ও ঢাকা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং, জঙ্গি হামলার দরুন সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অথবা বছরের এ চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে যদি জঙ্গিরা সফলভাবে পশ্চিমা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সে জন্যই ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে। দেশকে স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশের তৃতীয় শক্তির পুনঃঅন্তর্ভূক্তির জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে দেশে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা।
স্ট্র্যাটফোর এ পূর্বাভাষে দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকা- বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের ফলে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতাকে জোরদার করবে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ এবং নেপালে সংবিধান নিয়ে বিরোধ থেকে সংঘর্ষ শুরুর ঝুঁকি থাকায় সন্ত্রাসবাদের বর্ধিত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত নিজের সীমান্তসংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করবে।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

‘সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় ক্ষমতাসীনরা’

আপডেট সময় : ১০:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

2046
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীলদের জন্য বাংলাদেশে সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান-স্ট্র্যাটফোর। প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে চলা রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার পর, বাংলাদেশ এবার নিজস্ব জঙ্গিবাদের সঙ্গে লড়াই করছে। বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তাদের ইসলামী শরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে ঢাকার মনোযোগ দেশটির প্রলম্বিত রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট উগ্রপন্থার দিকে সরে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো গোষ্ঠীসমূহকে টার্গেট করছে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিকে নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ব্যবহার করতে চায় শাসকদল আওয়ামী লীগ। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী সহায়তা ও রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য সরকার নয়াদিল্লির সমর্থন কামনা অব্যাহত রাখবে। তীব্রমাত্রার সহিংসতায়ও ঢাকা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং, জঙ্গি হামলার দরুন সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া অথবা বছরের এ চতুর্ভাগে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে যদি জঙ্গিরা সফলভাবে পশ্চিমা রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সে জন্যই ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে। দেশকে স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় দেশের তৃতীয় শক্তির পুনঃঅন্তর্ভূক্তির জন্য যথেষ্ট বড় কারণ হতে পারে দেশে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি ও চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা।
স্ট্র্যাটফোর এ পূর্বাভাষে দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকা- বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের ফলে চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতাকে জোরদার করবে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-আফগানিস্তান অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ এবং নেপালে সংবিধান নিয়ে বিরোধ থেকে সংঘর্ষ শুরুর ঝুঁকি থাকায় সন্ত্রাসবাদের বর্ধিত শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত নিজের সীমান্তসংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করবে।