ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা ও খুলনায় যুবদল নেতার হত্যাকাণ্ডসহ সকল হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল  সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর এলাকা থেকে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রদল জাবি শাখার সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক।

সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরোন বলেন, “গতকাল আমরা যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছি, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আমরা এরকম নৃশংস হত্যাকাণ্ড চাইনা। মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড আমাদের হৃদয় যেমন ব্যথিত করেছে তেমনি খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে, পায়ের রগ কেটে যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে সেটাতেও আমাদের হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। আমরা পারভেজ হত্যাকাণ্ডে রাজপথে ছিলাম, সাম্য হত্যাকাণ্ডেও রাজপথে ছিলাম। ছাত্রদল সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সর্বস্ব ত্যাগ থাকবে।”

সমাপনী বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার আশা, আকাঙ্ক্ষা ছিলো যে একটি পরিবর্তনের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো হানাহানি, খুনোখুনি থাকবে না। আমরা চেয়েছিলাম একটি সাম্য এবং ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরেও এসে দেখিছি বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে৷ এই সরকার যদি প্রথম দিন থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব কালচারের বিচার এবং গ্রেপ্তার করতো তাহলে সন্ত্রাসীরা এসব মব কালচারের মাধ্যমে বারবার হত্যাকাণ্ডের সাহস পেতো না। অতীতে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সব কয়টির প্রতিবাদে ছাত্রদল যেভাবে রাজপথে ছিলো। আমরা মনে করি, শুধু একটি বিশেষ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের মব কালচার বা মিডিয়া ট্রায়াল উস্কে দেওয়া যাবে না।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সারাদেশে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা ও খুলনায় যুবদল নেতার হত্যাকাণ্ডসহ সকল হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল  সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর এলাকা থেকে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রদল জাবি শাখার সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক।

সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরোন বলেন, “গতকাল আমরা যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছি, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। আমরা এরকম নৃশংস হত্যাকাণ্ড চাইনা। মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড আমাদের হৃদয় যেমন ব্যথিত করেছে তেমনি খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে, পায়ের রগ কেটে যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে সেটাতেও আমাদের হৃদয়কে ব্যথিত করেছে। আমরা পারভেজ হত্যাকাণ্ডে রাজপথে ছিলাম, সাম্য হত্যাকাণ্ডেও রাজপথে ছিলাম। ছাত্রদল সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সর্বস্ব ত্যাগ থাকবে।”

সমাপনী বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার আশা, আকাঙ্ক্ষা ছিলো যে একটি পরিবর্তনের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো হানাহানি, খুনোখুনি থাকবে না। আমরা চেয়েছিলাম একটি সাম্য এবং ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পরেও এসে দেখিছি বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে৷ এই সরকার যদি প্রথম দিন থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার, মব কালচারের বিচার এবং গ্রেপ্তার করতো তাহলে সন্ত্রাসীরা এসব মব কালচারের মাধ্যমে বারবার হত্যাকাণ্ডের সাহস পেতো না। অতীতে যত হত্যাকাণ্ড হয়েছে সব কয়টির প্রতিবাদে ছাত্রদল যেভাবে রাজপথে ছিলো। আমরা মনে করি, শুধু একটি বিশেষ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের মব কালচার বা মিডিয়া ট্রায়াল উস্কে দেওয়া যাবে না।