নিউজ ডেস্ক:: নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেটে প্রথম জনসভা ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ২৪ অক্টোবর, বুধবার দুপুর ২টায় সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে এই জনসভা থেকেই নতুন কর্মসূচি দেবেন নির্বাচনকালীন সরকার বিরোধী এ জোটের নেতারা। আর এই জনসভায় জনতার ঢল নামবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ড. কামাল হোসেনে নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
সোমবার থেকে জনসভাস্থলে মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সকালে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণ কাজ। বাঁশ-কাঠসহ সরঞ্জামাদি নিয়ে মঞ্চ প্রস্তুত করতে থাকেন শ্রমিকরা।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হওয়া নতুন এই জোটে বিএনপি ছাড়াও রয়েছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য এবং গণফোরাম। ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভার মধ্য দিয়ে এই জোটের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এতে প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এদিন সিলেটে হজরত শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতও করবেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
সমাবেশকে ঘিরে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠকও করেছেন তারা। সমাবেশ সফল করতে জেলা ও মহানগরের পক্ষ থেকে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবশেষ পুলিশের অনুমতি পাওয়ায় পর তারা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।মঙ্গলবার সকালে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র আবুল কাহের শামীম জানান, সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার থেকে রেজিস্ট্রারি মাঠে মঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রস্তুতি সভাও সম্পন্ন হয়েছে। ২৪ অক্টোবর জনসভায় নগরজুড়ে জনগণের ঢল নামবে বলেও আশা করছেন তিনি।
প্রথম দিকে ২৩ অক্টোবর সমাবেশ আয়োজনের কথা থাকলেও অনুমতি না পাওয়ায় একদিন পর ২৪ অক্টোবর নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়। ১৭ অক্টোবর সিলেট বিএনপির ৫ নেতা সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সমাবেশের অনুমতি প্রদান করেনি প্রশাসন।
একইভাবে গত শনিবার আবেদন করা হয়েছিল। তবে অনুমতি না মেলায় রবিবার রিট করে ঐক্যফ্রন্ট। সোমবার ওই রিটের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই রবিবার সন্ধ্যায় ১৪ শর্তে সমাবেশের অনুমতি প্রদান করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘১৪ শর্তে রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত শর্ত ছাড়াও জনসভার দিনে নগরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাড়তি নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকবে।’
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগরের ভারপাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক বিএনপির নেতাকর্মী ও সিলেটবাসীকে সমাবেশ সফলের আহবান জানানোর পাশাপাশি সমাবেশে জেলা বিএনপির আওতাধীন সকল উপজেলা ও পৌর শাখা এবং মহানগরের আওতাধীন সকল ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দকে নিজ নিজ শাখার ব্যানারসহ মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থলের আশপাশে কোনো ব্যক্তির নামে পোস্টার, ব্যানার, প্লেকার্ড ও ফেস্টুন বহন না করা ও না সাঁটাতে এবং তোরণ নির্মাণ না করারও অনুরোধ জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।