ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের অভূতপূর্ব ছাত্র-জনতার জাগরণকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার দিন ব্যাপী বিশেষ সাংস্কৃতিক উৎসব  ‘জুলাই জাগরণ ২০২৫’। 

আগামী ১লা আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ইতিহাস, প্রতিবাদ, সাংস্কৃতিক চেতনা ও নাগরিক অংশগ্রহণকে একত্রিত করে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’।

অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, নাটক, আবৃত্তি, সংগীত, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা, আন্দোলনভিত্তিক স্থিরচিত্র ও ইনফোগ্রাফিক প্রদর্শনী, গণআলোচনা, বক্তৃতা, ফুড স্টল, আর্ট ওয়াল, মুক্ত বইঘর, স্মারক সামগ্রী সহ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনের নানা আয়োজনে।

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাফাজ্জল হোসাইন খান বলেন, “জুলাই আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। শিক্ষার্থীরা তখন নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। সেই সাহস, সেই স্বপ্ন, সেই প্রতিবাদ – সবকিছুকে আমরা সাংস্কৃতিক ভাষায় প্রকাশ করতে চাই এই উৎসবে।”

তিনি আরও জানান, “সাইমুম সবসময়ই গণমানুষের কণ্ঠকে শিল্পের মাধ্যমে উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছে। ‘জুলাই জাগরণ’ সেই চেষ্টারই এক বৃহৎ রূপ।” তিনি সকলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজকদের থেকে জানা যায়, উৎসবে অংশ নিতে টিকিট বা নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।

তারা বলেন, এটি কেবল একটি সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং ইতিহাস, প্রতিবাদ, সৌন্দর্য ও স্বপ্নের সম্মিলিত প্রতিচ্ছবি। তাদের মতে, সমাজ সচেতন নাগরিক, ছাত্র-ছাত্রী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও নতুন প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই পূর্ণতা পাবে এই আয়োজন।

সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে – গান, নাটক, শিল্প ও ভাবনার ছন্দে তারা এই সময়কে রাঙিয়ে তুলতে চায়। তাদের প্রত্যাশা– গণচেতনা, সাংস্কৃতিক রুচি ও সৃজনশীলতার মেলবন্ধনে ‘জুলাই জাগরণ’ হয়ে উঠবে একটি সময়ের সাংস্কৃতিক সাক্ষ্য।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের অভূতপূর্ব ছাত্র-জনতার জাগরণকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার দিন ব্যাপী বিশেষ সাংস্কৃতিক উৎসব  ‘জুলাই জাগরণ ২০২৫’। 

আগামী ১লা আগস্ট থেকে ৪ আগস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ইতিহাস, প্রতিবাদ, সাংস্কৃতিক চেতনা ও নাগরিক অংশগ্রহণকে একত্রিত করে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’।

অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, নাটক, আবৃত্তি, সংগীত, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা, আন্দোলনভিত্তিক স্থিরচিত্র ও ইনফোগ্রাফিক প্রদর্শনী, গণআলোচনা, বক্তৃতা, ফুড স্টল, আর্ট ওয়াল, মুক্ত বইঘর, স্মারক সামগ্রী সহ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনের নানা আয়োজনে।

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাফাজ্জল হোসাইন খান বলেন, “জুলাই আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। শিক্ষার্থীরা তখন নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহসিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। সেই সাহস, সেই স্বপ্ন, সেই প্রতিবাদ – সবকিছুকে আমরা সাংস্কৃতিক ভাষায় প্রকাশ করতে চাই এই উৎসবে।”

তিনি আরও জানান, “সাইমুম সবসময়ই গণমানুষের কণ্ঠকে শিল্পের মাধ্যমে উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছে। ‘জুলাই জাগরণ’ সেই চেষ্টারই এক বৃহৎ রূপ।” তিনি সকলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজকদের থেকে জানা যায়, উৎসবে অংশ নিতে টিকিট বা নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।

তারা বলেন, এটি কেবল একটি সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং ইতিহাস, প্রতিবাদ, সৌন্দর্য ও স্বপ্নের সম্মিলিত প্রতিচ্ছবি। তাদের মতে, সমাজ সচেতন নাগরিক, ছাত্র-ছাত্রী, সংস্কৃতিপ্রেমী ও নতুন প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই পূর্ণতা পাবে এই আয়োজন।

সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে – গান, নাটক, শিল্প ও ভাবনার ছন্দে তারা এই সময়কে রাঙিয়ে তুলতে চায়। তাদের প্রত্যাশা– গণচেতনা, সাংস্কৃতিক রুচি ও সৃজনশীলতার মেলবন্ধনে ‘জুলাই জাগরণ’ হয়ে উঠবে একটি সময়ের সাংস্কৃতিক সাক্ষ্য।