ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামির আঘাত

জীবন বদলে দিল ফেসবুক পোস্ট

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • 319

1378
দরিদ্রতার কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য ছিলো না হরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে বই খাতা নিয়ে হরেন্দ্র চলে আসতো মেট্রো স্টেশনে। স্টেশনের প্লাটফরমে বসে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসেই সেরে নিতে হতো পড়ালেখা। হরেন্দ্রর পাশেই থাকতো ওজন মাপার একটি মেশিন।

বই পড়ার ফাঁকে প্লাটফরমের যাত্রীদের কেউ কেউ ওজন মেপে দুই-একটা টাকা দিয়ে যেতেন তাকে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশি ৭০ রুপি আয় হলে তা দিয়ে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে বাড়ি ফিরতো।

এভাবেই কোন রকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। বেশ কয়েক দিন আগে প্লাটফরমে ঘুরতে আসা এক যাত্রী হরেন্দ্রর জীবন-যুদ্ধের এই কাহিনী ধারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্টের পরই বদলে যেতে থাকলো ১৩ বছর বয়সী হরেন্দ্রর জীবন।

হরেন্দ্রর এই অধ্যবসায়ের গল্প জানতে পেরে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রই তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে জেনে সে দারুণ খুশি। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় সংগ্রামী হরেন্দ্র।

ট্যাগস :

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

জীবন বদলে দিল ফেসবুক পোস্ট

আপডেট সময় : ১০:২৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

1378
দরিদ্রতার কারণে সন্ধ্যার পর বাড়িতে আলো জ্বালানোর সামর্থ্য ছিলো না হরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের। তাই বাধ্য হয়ে বই খাতা নিয়ে হরেন্দ্র চলে আসতো মেট্রো স্টেশনে। স্টেশনের প্লাটফরমে বসে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে বসেই সেরে নিতে হতো পড়ালেখা। হরেন্দ্রর পাশেই থাকতো ওজন মাপার একটি মেশিন।

বই পড়ার ফাঁকে প্লাটফরমের যাত্রীদের কেউ কেউ ওজন মেপে দুই-একটা টাকা দিয়ে যেতেন তাকে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশি ৭০ রুপি আয় হলে তা দিয়ে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে বাড়ি ফিরতো।

এভাবেই কোন রকমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো সে। বেশ কয়েক দিন আগে প্লাটফরমে ঘুরতে আসা এক যাত্রী হরেন্দ্রর জীবন-যুদ্ধের এই কাহিনী ধারণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তার এই পোস্টের পরই বদলে যেতে থাকলো ১৩ বছর বয়সী হরেন্দ্রর জীবন।

হরেন্দ্রর এই অধ্যবসায়ের গল্প জানতে পেরে অনেকেই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে পাঁচ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রই তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে জেনে সে দারুণ খুশি। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায় সংগ্রামী হরেন্দ্র।