লাইফ স্টাইল ডেস্ক:: উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে অনেক সময় ওরস্যালাইন খেতে চান না বা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। মনে করেন ওরস্যালাইনে লবণ ও গ্লুকোজ আছে, উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের আশঙ্কা এটি খেলে রক্তচাপ বাড়ে।ডায়াবেটিস রোগীরাও মনে করেন, যেহেতু ওরস্যালাইনে কিছু গ্লুকোজ থাকে, তাই এটি খেলে সুগার বাড়বে। দুটি ধারণাই গুরুতর ভুল।
প্রতিবার পাতলা পায়খানার সঙ্গে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ হারায় এবং তা যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে রোগীর পানিশূন্যতা, লবণশূন্যতা মারাত্মক আকার ধারণ করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোগী যেই হোক, ওরস্যালাইন খেয়ে এই পানি ও লবণ পূরণ করতে হবে। আর এতে যে সামান্য গ্লুকোজ আছে, তা অন্ত্রে লবণ শোষণের কাজে ব্যয়িত হয়।
তাই উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীরা ওরস্যালাইন খেতে পারবেন।এছাড়া ডায়রিয়া হলে বাড়িতে তৈরি পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত সব ধরনের স্বাভাবিক খাবারই খেতে পারবেন। কেননা শরীরে শক্তি সরবরাহের জন্য ক্যালরি তো লাগবেই। ভাত, মাছ, সবজি স্বাভাবিক ও সহজপাচ্য খাবার খেতে কোনো বাধা নেই। বিশেষ করে স্তন্যপানরত শিশুরা কোনো অবস্থাতেই বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করবে না।
লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।