নিউজ ডেস্ক:: গোলাপগঞ্জে একেরর পর এক লাশ উদ্ধারে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৫ দিনে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ সহ মোট ৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ শনিবার (৩ নভেম্বর) উপজেলার ভাদেশ্বর থেকে আমজদ আলী নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ভাদেশ্বর ইউনিয়নে মাইজভাগ গ্রামের সাহেদ আহমদ ও সুমন আহমদের পিতা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মাইজভাগ গ্রামে স্থানীয় লোকজন একটি পুকুরের পাশে আমজদ আলীর লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তারা গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমজদ আলী গত ৪দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এর পূর্বে গত ৮ অক্টোবর বাঘা ইউনিয়নের রস্তমপুরে কানাইঘাটের মাওলানা মুহিবুর রহমান (৫২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এর কিছুদিন পর ২৮ অক্টোবর চৌঘরীস্থ সুরমা নদী থেকে আরেকটি ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এর দুদিন পর ৩০ অক্টোবর বাঘা ইউনিয়নের তুড়ুগাও গ্রামের সুরমা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় চুনু মিয়া (৫০) নামের আরেক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক শিবলী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুটি লাশ অন্য উপজেলা থেকে সুরমা নদী দিয়ে ভেসে এসেছে। লাশ উদ্ধারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য তাঁর।