ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

পরকীয়ার ঘটনা আড়াল করতেই খুন

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫
  • 260

1
মাধবপুরে পরকীয়ার ঘটনা আড়াল করতেই স্বামীকে খুন করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় গৃহবধূ আম্বিয়া। হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে লাশ ফেলে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতো করলেও পুলিশের খাঁচায় আটকা পড়ে আম্বিয়া। কিন্তু তার দুই সহযোগী এখনও পলাতক। পুলিশ নিহতের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে (২৫) আটক করে। উপজেলার ইটাখোলা-খড়কী রাস্তার পাশ থেকে থানা পুলিশ চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। এরপর থেকেই পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে পড়ে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আম্বিয়া খাতুন তার স্বামী নুরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের দিনমজুর নুরুল ইসলাম (৩৩) একই গ্রামের আম্বিয়া খাতুনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২ দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন স্বামীর সংসার করার পর ১ মাস আগে আম্বিয়া স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়াস্থ ফয়সল স্পিনিং মিলে চাকরি নিয়ে ইটাখোলা গ্রামের নুর মিয়ার বাড়িতে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। গত ২৫শে অক্টোবর চুনারুঘাট থেকে স্ত্রী আম্বিয়ার ভাড়া বাসায় আসেন স্বামী নুরুল তার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য। আম্বিয়ার সঙ্গে ওই এলাকার দুজন পুরুষের সম্পর্ক ছিল।

নিহত নুরুলকে আম্বিয়া তার বাসায় রেখে মিলে চলে যায়। রাতের বেলায় আম্বিয়া পাশের রুমে অপর পুরুষদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখে নুরুল ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে আম্বিয়া ও তার ২ সহযোগী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) আবদুল আউয়াল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে গত ২৬শে অক্টোবর নিহতের বোন জমিলা খাতুন মাধবপুর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। গতকাল পুলিশ আম্বিয়াকে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আম্বিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) আবদুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় ৩-৪ জন জড়িত থাকতে পারে। তাই বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

পরকীয়ার ঘটনা আড়াল করতেই খুন

আপডেট সময় : ১১:১৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

1
মাধবপুরে পরকীয়ার ঘটনা আড়াল করতেই স্বামীকে খুন করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় গৃহবধূ আম্বিয়া। হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে লাশ ফেলে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতো করলেও পুলিশের খাঁচায় আটকা পড়ে আম্বিয়া। কিন্তু তার দুই সহযোগী এখনও পলাতক। পুলিশ নিহতের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে (২৫) আটক করে। উপজেলার ইটাখোলা-খড়কী রাস্তার পাশ থেকে থানা পুলিশ চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। এরপর থেকেই পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে নেমে পড়ে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আম্বিয়া খাতুন তার স্বামী নুরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার হলহলিয়া গ্রামের দিনমজুর নুরুল ইসলাম (৩৩) একই গ্রামের আম্বিয়া খাতুনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২ দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। দীর্ঘদিন স্বামীর সংসার করার পর ১ মাস আগে আম্বিয়া স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়াস্থ ফয়সল স্পিনিং মিলে চাকরি নিয়ে ইটাখোলা গ্রামের নুর মিয়ার বাড়িতে বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। গত ২৫শে অক্টোবর চুনারুঘাট থেকে স্ত্রী আম্বিয়ার ভাড়া বাসায় আসেন স্বামী নুরুল তার জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য। আম্বিয়ার সঙ্গে ওই এলাকার দুজন পুরুষের সম্পর্ক ছিল।

নিহত নুরুলকে আম্বিয়া তার বাসায় রেখে মিলে চলে যায়। রাতের বেলায় আম্বিয়া পাশের রুমে অপর পুরুষদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকতে দেখে নুরুল ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে আম্বিয়া ও তার ২ সহযোগী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ছাতিয়াইন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) আবদুল আউয়াল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে গত ২৬শে অক্টোবর নিহতের বোন জমিলা খাতুন মাধবপুর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। গতকাল পুলিশ আম্বিয়াকে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আম্বিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) আবদুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় ৩-৪ জন জড়িত থাকতে পারে। তাই বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।