ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

৫৫তম জন্মদিনে ম্যারাডোনার

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫
  • 319

2082
দিয়েগো ম্যারাডোনার আজ ৫৫তম জন্মদিন। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সের ভিলা ফিওরিওতিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফুটবলের এ জীবন্ত কিংবদন্তি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মতো তিনিও গরীব ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কারখানা শ্রমিক। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে ম্যারডোনা ছিলেন চতুর্থ। টানা তিন বোনের পর ম্যারাডোনার জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার জীবনে তিনি প্রথম ফুটবল উপহার পন তৃতীয় জন্মদিনে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে। ৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাচাতো ভাইয়ের দেয়া ওই বল নিয়েই তিনি রাতে ঘুমাতেন। ৮ বছর বয়সে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় তার প্রতি নজর পড়ে একজন স্কাউটের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বালকের মধ্যে একজন বিশ্বমানের ফুটবলারর হওয়ার সব মাল-মশলা আছে। ওই স্কাউটই তাকে ফুটবলার হওয়ার প্রথম ধাপে এগিয়ে দেন। ৯ বছর বয়সে প্রথম আনুষ্ঠাতিক ফুটবল দীক্ষা পান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ১১ বছর তখন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জেতে। তখন এ ক্লাবটি টানা ১৪০ ম্যাচ জেতার বিরল রেকর্ড গড়ে। আর এই রেকর্ড গড়তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পুচকে ম্যারাডোনা। ওই বছরই ক্লাবটি তাকে ১০ নম্বর জার্সি পরতে দেয়। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, তাকে প্রথমবারের মতো ১০ জার্সি পরিয়ে দেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা উদযাপনের জন্য আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবটি পেলেকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই ১০ নম্বর জার্সি পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইতিহাস গড়ে গেছেন একের পর এক। বাল্যকালে ১০ নম্বর জার্সি পরিয়ে দেয়া সেই কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে এক সময় তার তুলনা চলে আসে। এমন কি এখন পর্যন্ত প্রশ্ন সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে- পেলে নাকি ম্যারাডোনা? আর্জেন্টিনার এ ফুটবল কিংবদন্তির ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কিছু জানা-অজানা তথ্য নিচে দেয়া হলো-

– তার পুরো নাম দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা ফ্রান্সো।
– তার ডাকনাম ছিল ‘এল পিবে দে ওরো’। যার অর্থ ‘দ্য গোল্ডেন বয়’।
– ৮ বছর বয়সে বাড়ির পাশের এক মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে তিনি এক স্কাউটের চোখে পড়েন। তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তখন।
– ম্যারাডোনার জুনিয়র ক্লাবের নাম ছিল ‘বুয়েন্স এয়ার্স আর্জেন্টিনোস’।
– ১৯৮১ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। ওই বছর তার দল আর্জেন্টিনার লীগ শিরোপা জেতে। ওটাই ছিল আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনার একমাত্র লীগ শিরোপা।
– ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে বিশ্ব রেকর্ড ৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
– ১৯৮৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল-ক্লাসিকো ম্যাচ জেতে বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। প্রথমবারের মতো সেবার রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা কোনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়ের খেলায় হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।
– মাদক টেস্টে উত্তীর্ণ না হওয়ায় ম্যারাডোনা ১৫ মাস ফুটবলে নিষিদ্ধ হন।
– ক্যারিয়ারে ৬৮০ ম্যাচে ৩৪৫ গোল করেছেন ম্যারাডোনা।
– একটি নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের এক আসরে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড তার। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তাকে ৫০ বার ফাউল করা হয়।
– এক ম্যাচে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে তিনি ২৩ বার ফাউলের শিকার হন।
– ১৯৮৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। ওই বিশ্বকাপে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোলটি হাত দিয়ে করেন। যা এখনও ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে পরিরিচিত। আর দ্বিতীয় গোলটিকে এখনও বিশ্বকাপের সেরা গোল বলা হয়। এমন কি সেটা শতাব্দীর সেরা গোল।
– পেলের সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারর তিনি। এটা ফিফার জরিপের ফল।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

৫৫তম জন্মদিনে ম্যারাডোনার

আপডেট সময় : ১১:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

2082
দিয়েগো ম্যারাডোনার আজ ৫৫তম জন্মদিন। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ার্সের ভিলা ফিওরিওতিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফুটবলের এ জীবন্ত কিংবদন্তি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের মতো তিনিও গরীব ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন কারখানা শ্রমিক। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে ম্যারডোনা ছিলেন চতুর্থ। টানা তিন বোনের পর ম্যারাডোনার জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার জীবনে তিনি প্রথম ফুটবল উপহার পন তৃতীয় জন্মদিনে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে। ৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাচাতো ভাইয়ের দেয়া ওই বল নিয়েই তিনি রাতে ঘুমাতেন। ৮ বছর বয়সে স্থানীয় একটি মাঠে ফুটবল খেলার সময় তার প্রতি নজর পড়ে একজন স্কাউটের। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই বালকের মধ্যে একজন বিশ্বমানের ফুটবলারর হওয়ার সব মাল-মশলা আছে। ওই স্কাউটই তাকে ফুটবলার হওয়ার প্রথম ধাপে এগিয়ে দেন। ৯ বছর বয়সে প্রথম আনুষ্ঠাতিক ফুটবল দীক্ষা পান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবে তাকে ভর্তি করে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ১১ বছর তখন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জেতে। তখন এ ক্লাবটি টানা ১৪০ ম্যাচ জেতার বিরল রেকর্ড গড়ে। আর এই রেকর্ড গড়তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পুচকে ম্যারাডোনা। ওই বছরই ক্লাবটি তাকে ১০ নম্বর জার্সি পরতে দেয়। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, তাকে প্রথমবারের মতো ১০ জার্সি পরিয়ে দেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা উদযাপনের জন্য আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাবটি পেলেকে আমন্ত্রণ জানায়। ওই ১০ নম্বর জার্সি পরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। ইতিহাস গড়ে গেছেন একের পর এক। বাল্যকালে ১০ নম্বর জার্সি পরিয়ে দেয়া সেই কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে এক সময় তার তুলনা চলে আসে। এমন কি এখন পর্যন্ত প্রশ্ন সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে- পেলে নাকি ম্যারাডোনা? আর্জেন্টিনার এ ফুটবল কিংবদন্তির ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কিছু জানা-অজানা তথ্য নিচে দেয়া হলো-

– তার পুরো নাম দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা ফ্রান্সো।
– তার ডাকনাম ছিল ‘এল পিবে দে ওরো’। যার অর্থ ‘দ্য গোল্ডেন বয়’।
– ৮ বছর বয়সে বাড়ির পাশের এক মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে তিনি এক স্কাউটের চোখে পড়েন। তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তখন।
– ম্যারাডোনার জুনিয়র ক্লাবের নাম ছিল ‘বুয়েন্স এয়ার্স আর্জেন্টিনোস’।
– ১৯৮১ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। ওই বছর তার দল আর্জেন্টিনার লীগ শিরোপা জেতে। ওটাই ছিল আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনার একমাত্র লীগ শিরোপা।
– ১৯৮২ সালে বোকা জুনিয়র্স থেকে বিশ্ব রেকর্ড ৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ডে তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
– ১৯৮৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এল-ক্লাসিকো ম্যাচ জেতে বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। প্রথমবারের মতো সেবার রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা কোনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়ের খেলায় হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়।
– মাদক টেস্টে উত্তীর্ণ না হওয়ায় ম্যারাডোনা ১৫ মাস ফুটবলে নিষিদ্ধ হন।
– ক্যারিয়ারে ৬৮০ ম্যাচে ৩৪৫ গোল করেছেন ম্যারাডোনা।
– একটি নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টের এক আসরে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ড তার। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তাকে ৫০ বার ফাউল করা হয়।
– এক ম্যাচে সর্বাধিক ফাউলের শিকার হওয়ার রেকর্ডও তার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে তিনি ২৩ বার ফাউলের শিকার হন।
– ১৯৮৬ সালে তিনি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান। ওই বিশ্বকাপে ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় দুটি গোল করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম গোলটি হাত দিয়ে করেন। যা এখনও ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে পরিরিচিত। আর দ্বিতীয় গোলটিকে এখনও বিশ্বকাপের সেরা গোল বলা হয়। এমন কি সেটা শতাব্দীর সেরা গোল।
– পেলের সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারর তিনি। এটা ফিফার জরিপের ফল।