ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

সিলেটে একজনের অপরাধে অন্যজনের সাজা : সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামীকাল

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৭
  • 405

নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বদলে অন্য একজন শাস্তি ভোগ করার ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আগামীকাল (রোববার) সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী।
আজ (শনিবার) সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের দায়ী করা হয়েছে তাদের ছাড়া পাওয়ার কোন সুযোগ নেই তবে কোন নিরপরাধী যাতে সাজা না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
সিলেট কারাগারে ইকবাল হোসেন বকুল নামের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীর পরিবর্তে রিপন আহমদ ভূট্টো নামের আরেক ব্যক্তি সাজা খাটার ঘটনা মিডিয়ায় উঠে আসলে এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
সাজাভোগের ১৪ মাস পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী। মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ।
প্রতিবেদন হাতে পেয়ে শনিবার কারাগার পরিদর্শন করলেন জেলা ও দায়রা জজ। তার সাথে ছিলেন চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী আব্দুল হান্নান।
কারা ফটকে জেলা ও দায়রা জজ বলেন, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ভুট্টোর বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত ছিলেন তারা কেউ রক্ষা পাবেন না। আদালত চায় না কোন নিরপরাধ কারাগারে যাক। তাছাড়া একজনের বদলে অন্যজন সাজা কাটবে এমন কোন সিস্টেমও নেই। এমনকি কেউ ইচ্ছা করলেও তা করতে পারবে না। এই ঘটনায় যারা প্ররোচনা দিয়েছেন তাদেরকেও রেহাই দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত; রিপন আহমদ ভুট্টো ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইকবাল হোসেন বকুল হয়ে আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই তিনি কারান্তরিণ রয়েছেন।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

সিলেটে একজনের অপরাধে অন্যজনের সাজা : সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামীকাল

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীর বদলে অন্য একজন শাস্তি ভোগ করার ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আগামীকাল (রোববার) সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী।
আজ (শনিবার) সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের দায়ী করা হয়েছে তাদের ছাড়া পাওয়ার কোন সুযোগ নেই তবে কোন নিরপরাধী যাতে সাজা না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
সিলেট কারাগারে ইকবাল হোসেন বকুল নামের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীর পরিবর্তে রিপন আহমদ ভূট্টো নামের আরেক ব্যক্তি সাজা খাটার ঘটনা মিডিয়ায় উঠে আসলে এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
সাজাভোগের ১৪ মাস পর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হান্নানকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারী। মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ।
প্রতিবেদন হাতে পেয়ে শনিবার কারাগার পরিদর্শন করলেন জেলা ও দায়রা জজ। তার সাথে ছিলেন চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী আব্দুল হান্নান।
কারা ফটকে জেলা ও দায়রা জজ বলেন, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ভুট্টোর বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত ছিলেন তারা কেউ রক্ষা পাবেন না। আদালত চায় না কোন নিরপরাধ কারাগারে যাক। তাছাড়া একজনের বদলে অন্যজন সাজা কাটবে এমন কোন সিস্টেমও নেই। এমনকি কেউ ইচ্ছা করলেও তা করতে পারবে না। এই ঘটনায় যারা প্ররোচনা দিয়েছেন তাদেরকেও রেহাই দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত; রিপন আহমদ ভুট্টো ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইকবাল হোসেন বকুল হয়ে আদালতে হাজিরা দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই তিনি কারান্তরিণ রয়েছেন।