ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 56

বাংলাস্টেটমেন্ট প্রতিবেদক
আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।

ডা. জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ৬ জন চিকিৎসক বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকছেন।

লন্ডন বিমান বন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ড. জোয়াবেদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির ২ জন নেতা। আর ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান যাবেন।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হবেন বেগম জিয়া। সেখানকার চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, তার যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা প্রয়োজন, তাহলে সেখানে যাবেন, অন্যথায় নয়। আর সুস্থ হয়ে ফেরার পথে ওমরাহ করার ইচ্ছা আছে বেগম জিয়ার।

৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দেয় মেডিকেল বোর্ড।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাস্টেটমেন্ট প্রতিবেদক
আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।

ডা. জাহিদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ৬ জন চিকিৎসক বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকছেন।

লন্ডন বিমান বন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ড. জোয়াবেদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির ২ জন নেতা। আর ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান যাবেন।

তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হবেন বেগম জিয়া। সেখানকার চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, তার যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা প্রয়োজন, তাহলে সেখানে যাবেন, অন্যথায় নয়। আর সুস্থ হয়ে ফেরার পথে ওমরাহ করার ইচ্ছা আছে বেগম জিয়ার।

৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। অনেক আগেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেয়ার পরামর্শ দেয় মেডিকেল বোর্ড।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।