ইরানে হামলা চালিয়ে ইসরাইল ‘বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা কাজ’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ। তিনি বলেন, ইরানে হামলা চালিয়ে ইসরাইল এমন একটি কাজ করছে, যা গোটা বিশ্বের জন্য ‘নোংরা কাজ’।
তবে, ইসরাইল এর মাধ্যমে সবার উপকার করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মের্জ বলেন, এর মাধ্যমে তারা আমাদের সবারই উপকার করছে, কারণ এতে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বানানো থেকে বিরত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
মঙ্গলবার কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান সম্প্রচার সংস্থা জেডডিএফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মের্জকে প্রশ্ন করা হয়—তিনি কি একমত যে ইসরাইল মূলত পশ্চিমাদের চোখে ‘বিপজ্জনক’ এক শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের পক্ষ থেকে ‘নোংরা কাজ’ করছে?
জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, তিনি কৃতজ্ঞ এই শব্দচয়ন (নোংরা কাজ) ব্যবহারের জন্য।
তার ভাষায়, ‘এটাই সেই নোংরা কাজ যা ইসরাইল আমাদের সবার পক্ষ থেকে করছে। ইরানের এই শাসনব্যবস্থা হামলা, হত্যা, হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে এনেছে’।
মের্জের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, তা ইরানি সরকারের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের সামরিক বাহিনী ও সরকারের যে সাহস এবং পদক্ষেপ আমরা দেখছি, তার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। বিকল্পটা হতো—আরও কয়েক মাস কিংবা বছর ধরে এই শাসনের সন্ত্রাসের শিকার হওয়া—আর তখন হয়তো তাদের হাতে একটি পারমাণবিক অস্ত্রও থাকত’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্টে জার্মানির ভূমিকাকে কেন্দ্র করে জার্মান সরকার বরাবরই ইহুদি জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ দায়িত্ববোধ পোষণ করে। পাশাপাশি ইসরাইলের নিরাপত্তাকে তাদের ‘রাষ্ট্রীয় স্বার্থের অংশ’ হিসেবে বিবেচনা করে।
তবে সমালোচকেরা বলছেন, জার্মান নেতারা প্রায়শই ইসরাইলের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অতিরিক্ত নরম মনোভাব দেখিয়ে থাকেন।
তবে মের্জকে গত মাসে একটি বিরল অবস্থান নিতে দেখা যায়। ওই সময় তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘গাজায় বেসামরিক মানুষের দুর্দশা দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত’।