ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচারের জোর দাবি জানিয়েছে আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্লাস্ট জানায়, গত রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানী উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে নূরুল হুদাকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যায়।

ব্লাস্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়—আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে একদল পুরুষ নূরুল হুদাকে মারছে এবং তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমানজনক আচরণ করছে।

 

এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার ও সংবিধানের লঙ্ঘন এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এবং ৩৫(৫) অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিক আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী, আইনানুগ প্রক্রিয়া ব্যতীত বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে, এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না এবং কোনো ব্যক্তির প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর শাস্তি প্রদান বা আচরণের করা যাবে না।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একাধিক রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত শাস্তি দিতে পারে না। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ধারা-৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত প্রদানকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। জনসমক্ষে সংঘটিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবলমাত্র সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি চরম অবজ্ঞা।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচারের জোর দাবি জানিয়েছে আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্লাস্ট জানায়, গত রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানী উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে নূরুল হুদাকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যায়।

ব্লাস্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্র এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়—আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে একদল পুরুষ নূরুল হুদাকে মারছে এবং তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমানজনক আচরণ করছে।

 

এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার ও সংবিধানের লঙ্ঘন এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এবং ৩৫(৫) অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিক আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী, আইনানুগ প্রক্রিয়া ব্যতীত বাংলাদেশে অবস্থানরত ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে, এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না এবং কোনো ব্যক্তির প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর শাস্তি প্রদান বা আচরণের করা যাবে না।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একাধিক রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত শাস্তি দিতে পারে না। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ধারা-৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত প্রদানকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। জনসমক্ষে সংঘটিত এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবলমাত্র সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি চরম অবজ্ঞা।