বয়স জালিয়াতি ঠেকাতে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। খেলোয়াড়দের বয়স যাচাইয়ের জন্য বহিরাগত সংস্থা নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি আরএফপি (রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। সেখানে স্বনামধন্য সংস্থাগুলোকে আবেদন করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই বহিরাগত সংস্থাটি আগস্ট মাসের শেষদিকে কার্যক্রম শুরু করবে।
হঠাৎ করে কেন এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই, তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, কিছু সন্দেহজনক নথি বা সনদ জমা দেওয়ার ঘটনা থেকেই নড়েচড়ে বসেছে বিসিসিআই।
বহিরাগত সংস্থা নিয়োগের লক্ষ্য, বয়স প্রমাণের প্রক্রিয়াকে আরও পেশাদার করে তোলা এবং অতিরিক্ত বয়সের খেলোয়াড়রা যাতে ক্রিকেট কাঠামোর মধ্যে ঢুকে পড়তে না পারে, সেজন্য শক্তিশালী বাছাই প্রক্রিয়া তৈরি করা।
সাধারণত দুই-স্তরের বয়স যাচাই ব্যবস্থা অনুসরণ করে বিসিসিআই। প্রথম ধাপে নথি ও জন্ম সনদের পর্যালোচনা করা হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে বোন (হাড়) টেস্ট করা হয়। সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-১৬ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে এই যাচাইকরণ করা হয়।
বিসিসিআইয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারী সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (যেমন: কর্পোরেট কোম্পানি, শিক্ষাবোর্ড/প্রতিষ্ঠান ও নিয়োগ সংস্থা ইত্যাদি) জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইকরণ পরিষেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। গ্রামীণ অঞ্চলে প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে যাচাই করার সক্ষমতাও থাকতে হবে।
বিসিসিআই সাধারণত প্রতিবছর জুলাই ও আগস্টে বয়স যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবে এবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ নতুন সংস্থাটি আগস্ট মাসের শেষে কার্যকর হবে। এই যাচাই রাজ্যভিত্তিক হয়ে থাকে।
এর আগে এই বয়স যাচাইকরণ প্রক্রিয়া বিসিসিআই নিজেরাই পরিচালনা করতো। এবারের সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে, বোর্ড এই প্রক্রিয়ায় আরও দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্ব আনতে চায়।