ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন ও কিছু কথা”

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 472


মিনহাজুল ইসলাম তুহিন,চবি প্রতিনিধি।

বিশ্বে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যার শিক্ষার্থী পরিবহণের জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন।
আর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো বাংলাদেশের ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একজোড়া শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন শিক্ষার্থীদের কাছে এক আবেগ অনুভূতির জায়গা। প্রতিদিন প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের কথা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাটলের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শাটলে আসি শাটলে যাই। শাটলে যাওয়া আসা করতে করতেই শাটল ট্রেনের প্রেমে পড়ে যায় অনেকেই। এই শাটল ট্রেনকে দেখতে অনেকেই আসে চবিতে ঘুরতে, শাটলের ক্যাম্পাসে। শাটল ট্রেন নিজেই একটা বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ, ট্রেনের পাটাতনকে ড্রাম বানিয়ে রচিত হয় প্যারোডি গান। ট্রেনের হালকা দুলনিতে, সুরের মোহনায়, অবিরত ড্রাম বাজিয়ে গানের ছন্দের তালে তালে পাড়ি জমায় শিক্ষার্থীরা। শাটলের জার্নির কষ্টটাও জেনো অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এই প্যারোডি গান। গান শুনে অনেক সময় আপনার ভুবন ভুলানো হাসি পাবে। আড্ডা, গল্প, গান, পড়ালেখা, কী নেই শাটলের মাঝে। শাটলের মাঝে হৃদয়ের লেনাদেনাও কেউকেউ করে ফেলে। শাটল ট্রেন যেনো হয়ে উঠে এক টুকরো চলন্ত বিশ্ববিদ্যালয়। শাটলের সাথে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই। ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে করতেই কেউকেউ লিখে ফেলে শাটলের গল্প। শাটল নিয়ে গল্প কথার শেষ নেই। শাটল ট্রেনের ভিতর অনেকসময় জায়গা না হলে তখন কেউকেউ জায়গা করে নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, ট্রেনের দরজায়। যদিও এটা বিপদজনক এবং নিষিদ্ধ। তবুও প্রায়ই সময় বাঁচাতে কেউকেউ ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়ে ট্রেনের ছাদে। আসলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই। ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।ট্রেনের ভিতরে যাওয়ার যেমন আলাদা আনন্দ আছে তেমনি ট্রেনের ছাদে যাওয়ার আলাদা শৈল্পিক আনন্দ আছে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে, ট্রেনের দুলনিতে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় শাটল ট্রেন। চারপাশের লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আলোয় আলাদা মোহনীয় দৃশ্যপট তৈরি হয়। শাটল ট্রেনের ছাদে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার মাঝে এক আলাদা এবং অনন্য অনুভূতি আছে। যেগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সব শেষে এতটুকুই বলব,সময় পেলে চড়ে আসুন চবি শাটলে।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

“চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন ও কিছু কথা”

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


মিনহাজুল ইসলাম তুহিন,চবি প্রতিনিধি।

বিশ্বে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যার শিক্ষার্থী পরিবহণের জন্য রয়েছে নিজস্ব ট্রেন।
আর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো বাংলাদেশের ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একজোড়া শাটল ও একটি ডেমু ট্রেন শিক্ষার্থীদের কাছে এক আবেগ অনুভূতির জায়গা। প্রতিদিন প্রায় বারো হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের মাধ্যম এই শাটল ট্রেন। শিক্ষার্থীদের কথা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাটলের বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শাটলে আসি শাটলে যাই। শাটলে যাওয়া আসা করতে করতেই শাটল ট্রেনের প্রেমে পড়ে যায় অনেকেই। এই শাটল ট্রেনকে দেখতে অনেকেই আসে চবিতে ঘুরতে, শাটলের ক্যাম্পাসে। শাটল ট্রেন নিজেই একটা বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ, ট্রেনের পাটাতনকে ড্রাম বানিয়ে রচিত হয় প্যারোডি গান। ট্রেনের হালকা দুলনিতে, সুরের মোহনায়, অবিরত ড্রাম বাজিয়ে গানের ছন্দের তালে তালে পাড়ি জমায় শিক্ষার্থীরা। শাটলের জার্নির কষ্টটাও জেনো অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় এই প্যারোডি গান। গান শুনে অনেক সময় আপনার ভুবন ভুলানো হাসি পাবে। আড্ডা, গল্প, গান, পড়ালেখা, কী নেই শাটলের মাঝে। শাটলের মাঝে হৃদয়ের লেনাদেনাও কেউকেউ করে ফেলে। শাটল ট্রেন যেনো হয়ে উঠে এক টুকরো চলন্ত বিশ্ববিদ্যালয়। শাটলের সাথে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই। ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে করতেই কেউকেউ লিখে ফেলে শাটলের গল্প। শাটল নিয়ে গল্প কথার শেষ নেই। শাটল ট্রেনের ভিতর অনেকসময় জায়গা না হলে তখন কেউকেউ জায়গা করে নিয়ে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, ট্রেনের দরজায়। যদিও এটা বিপদজনক এবং নিষিদ্ধ। তবুও প্রায়ই সময় বাঁচাতে কেউকেউ ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়ে ট্রেনের ছাদে। আসলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ সেই আদিকাল থেকেই। ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও তার ব্যতিক্রম নয়।ট্রেনের ভিতরে যাওয়ার যেমন আলাদা আনন্দ আছে তেমনি ট্রেনের ছাদে যাওয়ার আলাদা শৈল্পিক আনন্দ আছে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে, ট্রেনের দুলনিতে সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় শাটল ট্রেন। চারপাশের লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আলোয় আলাদা মোহনীয় দৃশ্যপট তৈরি হয়। শাটল ট্রেনের ছাদে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার মাঝে এক আলাদা এবং অনন্য অনুভূতি আছে। যেগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
সব শেষে এতটুকুই বলব,সময় পেলে চড়ে আসুন চবি শাটলে।