ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামির আঘাত

সাংবাদিক হত্যায় মেয়র মিরু ও তার ভাই ফের রিমান্ডে

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 289


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সমকাল সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু ও তাঁর ছোট ভাইকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মেয়রের ছোট ভাই হাবিবুল হক মিন্টু পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মেয়র মিরু ও মিন্টুকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এর আগে গত ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় মেয়র মিরুসহ আট আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আবুল কাশেম জানান, শাহজাদপুর উপজেলা আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসিবুল হক সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকায় গেছেন। এ কারণে সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে হালিমুল হক মিরু ও তার ভাই হাসিবুল হক মিন্টুর রিমান্ড শুনানি হয়। এজন্য কারাগার থেকে তাঁদের শাহজাদপুর আদালতের পরিবর্তে সিরাজগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছাত্রলীগ ও মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের সাংবাদিক শিমুল গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জন অজ্ঞাতনামাসহ আরো ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় আহত বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলীও প্রায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এ দুটি মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১২জনকে আটক করেছে। সবাই সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।

ট্যাগস :

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

সাংবাদিক হত্যায় মেয়র মিরু ও তার ভাই ফের রিমান্ডে

আপডেট সময় : ০৮:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সমকাল সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু ও তাঁর ছোট ভাইকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মেয়রের ছোট ভাই হাবিবুল হক মিন্টু পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মেয়র মিরু ও মিন্টুকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এর আগে গত ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় মেয়র মিরুসহ আট আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি আবুল কাশেম জানান, শাহজাদপুর উপজেলা আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসিবুল হক সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকায় গেছেন। এ কারণে সিরাজগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে হালিমুল হক মিরু ও তার ভাই হাসিবুল হক মিন্টুর রিমান্ড শুনানি হয়। এজন্য কারাগার থেকে তাঁদের শাহজাদপুর আদালতের পরিবর্তে সিরাজগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছাত্রলীগ ও মেয়র গ্রুপের সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের সাংবাদিক শিমুল গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জন অজ্ঞাতনামাসহ আরো ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় আহত বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলীও প্রায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এ দুটি মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১২জনকে আটক করেছে। সবাই সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।