ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামির আঘাত

ট্রাম্পকে আইএস নির্মূলের কৌশলপত্র দিলো পেন্টাগন

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • 269


জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’কে মোকাবিলার একটা খসড়া কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের কাছে এ রূপরেখা তুলে ধরা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রণীত কৌশলপত্রে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিরিয়া এবং ইরাকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আইএস-মুক্ত করার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্রিফ করবেন বলে প্রত্যাশা ছিল।

পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার কাঠামো। শুধু ইরাক এবং সিরিয়া নয়; বরং এতে দুনিয়াজুড়ে ইসলামিক স্টেটের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

জেফ ডেভিস বলেন, এই পরিকল্পনা নির্ধারিত হবে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার অভিপ্রায়ে। এর মধ্য দিয়ে দ্রুত জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে পরাস্ত করা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস গ্রাফিক্সসহ প্রাথমিকভাবে প্রণীত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ক্যাবিনেট লেভেল প্রিন্সিপালস কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, মৌলবাদী ইসলামী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে পরাজিত করা যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির প্রধান লক্ষ্য। ইরাক ও সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওবামা প্রশাসনের নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত এসেছে ট্রাম্প শিবির থেকে। এর মধ্যে অন্য দেশগুলো থেকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি কমিয়ে আনার মতো বিষয়ও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই আইএসবিরোধী লড়াইয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনার খবর এলো।

বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড। এই কমান্ডার জানান, তার বিশ্বাস আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মার্কিন সমর্থিত বাহিনীগুলো আইএসের দুই শক্ত ঘাঁটি দখলে সক্ষম হবে। এ দুই ঘাঁটি হচ্ছে ইরাকের মসুল এবং সিরিয়ার রাকা। তবে ইরাকের সরকারি বাহিনীর ধারণা জঙ্গিদের হাত থেকে মসুল শহরকে উদ্ধারে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী কুর্দিশ পপুলার প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)-কে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ ব্যাপারে ন্যাটোভুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ তুরস্কের দিক থেকে জোরালো আপত্তি রয়েছে। ওয়াইপিজি’কে আইএসের মতোই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আঙ্কারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী সামরিক পর্যালোচনায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনেরও অংশগ্রহণ থাকছে। সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকছে ট্রেজারি দফতর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

ইরাক ও সিরিয়ায় বর্তমানে মার্কিন বাহিনীর ছয় হাজারের চেয়ে কিছু কমসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেন্টাগনের উচিত বাড়তি ফোর্স মোতায়েনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানানো। এটা এসব দেশে মার্কিন বাহিনীকে আরও জোরালো লড়াইয়ে সাহায্য করবে। পেন্টাগনের উচিত বিমান হামলার মতো স্বল্প মাত্রার অপারেশনের ওপর জোর দেওয়া। রণক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সেনাবাহিনীও আরও অধিক ক্ষমতা চাইতে পারে।

ট্যাগস :

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

ট্রাম্পকে আইএস নির্মূলের কৌশলপত্র দিলো পেন্টাগন

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭


জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’কে মোকাবিলার একটা খসড়া কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের কাছে এ রূপরেখা তুলে ধরা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রণীত কৌশলপত্রে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিরিয়া এবং ইরাকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আইএস-মুক্ত করার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের ব্রিফ করবেন বলে প্রত্যাশা ছিল।

পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার কাঠামো। শুধু ইরাক এবং সিরিয়া নয়; বরং এতে দুনিয়াজুড়ে ইসলামিক স্টেটের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

জেফ ডেভিস বলেন, এই পরিকল্পনা নির্ধারিত হবে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার অভিপ্রায়ে। এর মধ্য দিয়ে দ্রুত জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে পরাস্ত করা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস গ্রাফিক্সসহ প্রাথমিকভাবে প্রণীত পরিকল্পনা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ক্যাবিনেট লেভেল প্রিন্সিপালস কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, মৌলবাদী ইসলামী সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে পরাজিত করা যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির প্রধান লক্ষ্য। ইরাক ও সিরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওবামা প্রশাসনের নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত এসেছে ট্রাম্প শিবির থেকে। এর মধ্যে অন্য দেশগুলো থেকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি কমিয়ে আনার মতো বিষয়ও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই আইএসবিরোধী লড়াইয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনার খবর এলো।

বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড। এই কমান্ডার জানান, তার বিশ্বাস আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মার্কিন সমর্থিত বাহিনীগুলো আইএসের দুই শক্ত ঘাঁটি দখলে সক্ষম হবে। এ দুই ঘাঁটি হচ্ছে ইরাকের মসুল এবং সিরিয়ার রাকা। তবে ইরাকের সরকারি বাহিনীর ধারণা জঙ্গিদের হাত থেকে মসুল শহরকে উদ্ধারে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

সিরিয়ার কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী কুর্দিশ পপুলার প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)-কে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ ব্যাপারে ন্যাটোভুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ তুরস্কের দিক থেকে জোরালো আপত্তি রয়েছে। ওয়াইপিজি’কে আইএসের মতোই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আঙ্কারা।

যুক্তরাষ্ট্রের আইএসবিরোধী সামরিক পর্যালোচনায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনেরও অংশগ্রহণ থাকছে। সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকছে ট্রেজারি দফতর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

ইরাক ও সিরিয়ায় বর্তমানে মার্কিন বাহিনীর ছয় হাজারের চেয়ে কিছু কমসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেন্টাগনের উচিত বাড়তি ফোর্স মোতায়েনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানানো। এটা এসব দেশে মার্কিন বাহিনীকে আরও জোরালো লড়াইয়ে সাহায্য করবে। পেন্টাগনের উচিত বিমান হামলার মতো স্বল্প মাত্রার অপারেশনের ওপর জোর দেওয়া। রণক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সেনাবাহিনীও আরও অধিক ক্ষমতা চাইতে পারে।