ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

জঙ্গি নেতা কাশেম ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত ছিলেন

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭
  • 281

নিউজ ডেস্ক:: নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা ও ‘বড় হুজুর’ বলে পরিচিত মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় আমের ব্যবসা ও পল্লী চিকিৎসকের কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাঠি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাঠি গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি দোকানের বিকাশ নম্বরে এক ভক্তের পাঠানো টাকা নিতে এলে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

কোদালকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় ডাডিয়ারচর বাজারে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিতেন এবং নিজ বাগানের আম বিক্রি করতেন। এরপর কুড়িগ্রামের বাইরে কোনও মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে আমরা শুনেছি।

সাত ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক মাওলানা আবুল কাশেমের স্ত্রীর নাম মমতাজ বেগম। বাড়ির পাশের জমিতে তাদের একটি আম বাগান রয়েছে। ডাডিয়ার চর গ্রামে করিম মণ্ডলের বাড়ির পাশে একটি মক্তবে ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষাও দিতেন জেএমবির বড় হজুর বলে পরিচিত এই মাওলানা। বিভিন্ন সময় তিনি স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যও দিতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সর্বশেষ এক বছর আগে তাকে রাজিবপুরে নিজ এলাকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে তিনি নিখোঁজ হন।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাডিয়ারচর গ্রামের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘নদী ভাঙ্গনের কারণে কোদালকাটি ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন। দুই এলাকাতেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম মৃত শওকত আলী প্রামাণিক।

এদিকে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেও তাকে কখনও এলাকায় পাইনি।’

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও মো. শাহ আলম বাংলা জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম নামে কোনও জেএমবি সদস্যের তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই।’

অভিযোগ আছে আবুল কাশেম নব্য জেএমবির বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জিহাদ, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সদস্যদের হিংস্র করে তুলতেন এই ‘বড় হুজুর’। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ বেশ কয়েকটি নাশকতা চালানোর অনুমোদনও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

জঙ্গি নেতা কাশেম ‘বড় হুজুর’ নামে পরিচিত ছিলেন

আপডেট সময় : ১২:০২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:: নব্য জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা ও ‘বড় হুজুর’ বলে পরিচিত মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় আমের ব্যবসা ও পল্লী চিকিৎসকের কাজ করতেন। কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাঠি ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাঠি গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি দোকানের বিকাশ নম্বরে এক ভক্তের পাঠানো টাকা নিতে এলে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা।

কোদালকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর এবং একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার কামাল হোসেন জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম এলাকায় ডাডিয়ারচর বাজারে একটি দোকানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দিতেন এবং নিজ বাগানের আম বিক্রি করতেন। এরপর কুড়িগ্রামের বাইরে কোনও মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে আমরা শুনেছি।

সাত ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক মাওলানা আবুল কাশেমের স্ত্রীর নাম মমতাজ বেগম। বাড়ির পাশের জমিতে তাদের একটি আম বাগান রয়েছে। ডাডিয়ার চর গ্রামে করিম মণ্ডলের বাড়ির পাশে একটি মক্তবে ছেলে-মেয়েদের আরবী শিক্ষাও দিতেন জেএমবির বড় হজুর বলে পরিচিত এই মাওলানা। বিভিন্ন সময় তিনি স্থানীয় ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যও দিতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সর্বশেষ এক বছর আগে তাকে রাজিবপুরে নিজ এলাকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে তিনি নিখোঁজ হন।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাডিয়ারচর গ্রামের ৬ নম্বর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ‘নদী ভাঙ্গনের কারণে কোদালকাটি ইউনিয়নে বসবাস শুরু করেন। দুই এলাকাতেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তার পিতার নাম মৃত শওকত আলী প্রামাণিক।

এদিকে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলেও তাকে কখনও এলাকায় পাইনি।’

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও মো. শাহ আলম বাংলা জানান, ‘মাওলানা আবুল কাশেম নামে কোনও জেএমবি সদস্যের তথ্য জেলা পুলিশের কাছে নেই।’

অভিযোগ আছে আবুল কাশেম নব্য জেএমবির বিভিন্ন কার্যক্রমে মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জিহাদ, ইসলাম, কোরআন ও হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে দলটির সদস্যদের হিংস্র করে তুলতেন এই ‘বড় হুজুর’। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলাসহ বেশ কয়েকটি নাশকতা চালানোর অনুমোদনও তিনি দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।