ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী

অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭
  • 314


নিজস্ব প্রতিবেদক,

‘ডাকসু নির্বাচন ইজ অ্যা মাস্ট’- যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার তাগিদ দিয়ে এ কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব শূন্যতার সংকটে পড়বে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকেই ছাত্র- নেতৃত্বে আসতে হবে।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নানা সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেও নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত আটকে যায় এই উদ্যোগ।

ছাত্র রাজনীতি কীভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করে তার বর্ণনা দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি এবং একটা কিশোরগঞ্জ মহকুমার একটা ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। গুরুদয়াল কলেজের ভিপি, জিএস ছিলাম; নির্বাচিত। তখন ছাত্রদের সাথে এমনভাবে চলছি, এমন ভালো ব্যবহার করেছি যাতে ভিপিতে দাঁড়াইলে, জিএসে দাঁড়াইলে আমারে ভোট দেয়। আর ভালো ভালো ছাত্র যারা, ম্যাট্রিকে ফার্স্ট ডিভিশন পাইসে, বা ইন্টারমিডিয়েট এ ভালো রেজাল্ট করেছে। তাদেরকে রিকোয়েস্ট করতাম, আমাদের সাথে থাকার জন্য।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভালো ছাত্ররা রাজনীতি থেকে একটু দূরে থাকতে চায়। তাদেরকে দুর্বল করার জন্য অনেক কিছু করতাম। কখনো যদি খবর পাইলাম, ভালো ছাত্র একজন লজিং থাকে, সে জ্বরে আক্রান্ত, তাঁর জন্য ডাব, কলা, আনারস, মানারস নিয়ে দেখতাম গেছি। অর্থাৎ তাঁকে দুর্বল করা যাতে আমার দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাধারণ ছেলেরা যখন ভর্তি হতে আসত, তখন আমরা নিজেরা ভর্তি ফরম পূরণ করে দিয়েছি। অনেক সময় তাঁরা বুঝতে পারত না। এভাবে সাধারণ ছাত্রদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি। যাতে তাঁরা আমাদের ভালোবাসে, আমাদের প্যানেলকে ভোট দেয়। কিন্তু এখন কী হয়েছে বুঝি না। কী আর বলব!’

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তাদের, আমার মতে, এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ইউনিভার্সিটির রেগুলার স্টুডেন্ট যারা তাঁরা যেন ছাত্র-নেতৃত্বে থাকে। ৪৫-৫০ বছর বয়সে একটা ব্যক্তি যদি একটা ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়, তাহলে এই ইউনিভার্সিটির ২০/২২ বছরের ছেলে-মেয়েরা যারা আছে, তাদের সাথে এডজাস্টমেন্ট কী কইরা হতে পারে, এটা তো আমি বুঝি না।’

‘সুতরাং ডাকসু নির্বাচন ইজ অ্যা মাস্ট। ডাকসু নির্বাচন করা দরকার। তা না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে যাবে’-বলেন রাষ্ট্রপতি।

ট্যাগস :

ড. ইউনূস, জামায়াত ও নাহিদ গং ‘লাশের কারিগর’, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষকের

অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭


নিজস্ব প্রতিবেদক,

‘ডাকসু নির্বাচন ইজ অ্যা মাস্ট’- যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার তাগিদ দিয়ে এ কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব শূন্যতার সংকটে পড়বে।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ তম সমাবর্তনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকেই ছাত্র- নেতৃত্বে আসতে হবে।

১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নানা সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেও নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত আটকে যায় এই উদ্যোগ।

ছাত্র রাজনীতি কীভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করে তার বর্ণনা দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি এবং একটা কিশোরগঞ্জ মহকুমার একটা ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে কাজ করেছি। গুরুদয়াল কলেজের ভিপি, জিএস ছিলাম; নির্বাচিত। তখন ছাত্রদের সাথে এমনভাবে চলছি, এমন ভালো ব্যবহার করেছি যাতে ভিপিতে দাঁড়াইলে, জিএসে দাঁড়াইলে আমারে ভোট দেয়। আর ভালো ভালো ছাত্র যারা, ম্যাট্রিকে ফার্স্ট ডিভিশন পাইসে, বা ইন্টারমিডিয়েট এ ভালো রেজাল্ট করেছে। তাদেরকে রিকোয়েস্ট করতাম, আমাদের সাথে থাকার জন্য।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভালো ছাত্ররা রাজনীতি থেকে একটু দূরে থাকতে চায়। তাদেরকে দুর্বল করার জন্য অনেক কিছু করতাম। কখনো যদি খবর পাইলাম, ভালো ছাত্র একজন লজিং থাকে, সে জ্বরে আক্রান্ত, তাঁর জন্য ডাব, কলা, আনারস, মানারস নিয়ে দেখতাম গেছি। অর্থাৎ তাঁকে দুর্বল করা যাতে আমার দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাধারণ ছেলেরা যখন ভর্তি হতে আসত, তখন আমরা নিজেরা ভর্তি ফরম পূরণ করে দিয়েছি। অনেক সময় তাঁরা বুঝতে পারত না। এভাবে সাধারণ ছাত্রদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি। যাতে তাঁরা আমাদের ভালোবাসে, আমাদের প্যানেলকে ভোট দেয়। কিন্তু এখন কী হয়েছে বুঝি না। কী আর বলব!’

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তাদের, আমার মতে, এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ইউনিভার্সিটির রেগুলার স্টুডেন্ট যারা তাঁরা যেন ছাত্র-নেতৃত্বে থাকে। ৪৫-৫০ বছর বয়সে একটা ব্যক্তি যদি একটা ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়, তাহলে এই ইউনিভার্সিটির ২০/২২ বছরের ছেলে-মেয়েরা যারা আছে, তাদের সাথে এডজাস্টমেন্ট কী কইরা হতে পারে, এটা তো আমি বুঝি না।’

‘সুতরাং ডাকসু নির্বাচন ইজ অ্যা মাস্ট। ডাকসু নির্বাচন করা দরকার। তা না হলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে যাবে’-বলেন রাষ্ট্রপতি।