পরিচিত এবং অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে অনুরোধ পেতেই থাকি, তাদের সামষ্টিক কষ্ট বা অনুভূতির কথা যেন বলি বা লিখি। কেউ মোবাইলে এসএমএস করেন, কেউ সরাসরি ফোন করে বলেন। বেকার তরুণ, মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা যার যার অবস্থান থেকে যোগাযোগ করেন। সবার অনুরোধ রাখা যায় না। তবে গত সাত দিনে যে তিনটি বিষয় নিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠিত ছিল এবং কিছু বলা ও লেখার জন্য আমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে- এক. খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ। দুই. গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের আইন লংঘন। তিন. তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর হত্যা প্রসঙ্গে আদালতের একটি রায় এবং রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন ধর্মঘট।
তারেক ও মিশুক হত্যা মামলার রায় হয়েছে কয়েকদিন আগে। রায়ের বিরুদ্ধে বাসচালক এবং তাদের সহকর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। অর্থাৎ তারা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। প্রথমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। তারা ছয়-সাত দিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়; কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা মহানগরে, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত আরেকটি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধর্মঘট প্রত্যাহার তো দূরের কথা, সারা দেশে তা বিস্তৃত করা হয়। সারা বাংলাদেশে বাস চলেনি। মানুষের কী রকম দুর্গতি হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যতটুকু শুনেছি, বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা বাহিনীগুলো প্রধানমন্ত্রীকে জানান, এরূপ অরাজক পরিস্থিতি সরকারের জন্য নিকট ভবিষ্যতে ক্ষতির কারণ হতে পারে। অতএব প্রধানমন্ত্রী যেন সমাধানের নির্দেশ দেন। যতটুকু শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার ১ মার্চ সকালে তিন-চারজন মন্ত্রীর সঙ্গে মালিক পক্ষ এবং ধর্মঘটী শ্রমিক পক্ষের মিটিং হয় এবং মিটিংয়ের পরপরই দুপুর দেড়টা-দুইটার দিকে খবর বের হল, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পত্রিকার সংবাদ মোতাবেক, সারা বাংলাদেশে দূরপাল্লার পরিবহন ধর্মঘটের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে মন্ত্রী শাজাহান খান সাহেবের বাসায়, পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মিটিংয়ে। পাঠক সম্প্রদায় জানেন, মাননীয় মন্ত্রী একটি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিও বটে। এটি হল মন্ত্রিত্বের বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব। অতিরিক্ত দায়িত্বের ঠেলায় আমরা দেশবাসী কাবু হয়ে গিয়েছিলাম। আরও একটি সংবাদ চিন্তার উদ্রেক করে, সেটি হল ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেন মাননীয় মন্ত্রী নিজে। তাহলে যুক্তির মাধ্যমেই বলতে চাই, তিনি যেহেতু প্রত্যাহার করেছেন, তাহলে তিনিই ধর্মঘট আহ্বান করেছিলেন। একজন মন্ত্রীর জন্য এটি কতটুকু শোভনীয় বা বৈধ সে প্রশ্ন একজন রাজনৈতিক কর্মী ও একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এখানে উপস্থাপন করলাম। আমার মতে এটি বৈধ নয়, শোভনীয়ও নয়।
বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে অনেক রকমের অভিযোগ আছে। রাজনীতি করতে গেলে অভিযোগ আসবেই, সেটা দলের বিরুদ্ধে হোক বা নেতার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ নামক প্রখ্যাত রাজনৈতিক দলটি যেহেতু দেশ চালাচ্ছে, সেহেতু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে এটিই স্বাভাবিক। তবে আমি যে অভিযোগটির কথা বলছি, সেটি অভিনব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বা বাংলদেশেও দেশ পরিচালনাকারী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এরূপ অভিযোগ ঘন ঘন আসে না। অভিযোগটি এরূপ: যখনই সরকারের সামনে এমন একটি অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ইস্যু উপস্থিত হয়, যে ইস্যুটি সরকারের জন্য অপ্রিয় বা অপ্রীতিকর, তখনই সরকার নিজেই আরেকটি ইস্যু সৃষ্টি করে, যেন মানুষ প্রথম ইস্যুটির কথা ভুলে যায়। ভুলে না গেলেও অর্থাৎ মনোযোগের যেন দিক পরিবর্তন হয়। এবার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ দুটি। একটি হল : রাজনৈতিক অঙ্গনের বাম অংশ রামপাল ও সুন্দরবন ইস্যু নিয়ে ধর্মঘট প্রতিবাদ ইত্যাদি জোরেশোরে শুরু করেছে। আরেকটি হল : ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের ঘোষণা মোতাবেক, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হবে ১ মার্চ থেকে একবার এবং তিন মাস পর আরেকবার। পত্র-পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী, দেশব্যাপী মানুষ অসন্তুষ্ট ছিল এ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে। এ ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক অঙ্গনের বাম অংশ মানুষের কষ্ট ও অসন্তুষ্টির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এবং কর্মসূচি দেয়। রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিও কর্মসূচির পরিকল্পনা করে। মানুষের মনের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়া এবং বাম দলগুলোর কর্মসূচির প্রভাব গৌণ করে দেয়ার জন্য সরকার সুচিন্তিতভাবে পরিবহন ধর্মঘট সৃষ্টি করে। বাংলায় প্রবাদ আছে: ‘সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে।’ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নামক সাপ দ্বারা দংশন করে এবং পুলিশ নামক ওঝা দ্বারা পিটানি-চালান করে বিষ নামায়। আবার একই সরকার, মন্ত্রী শাজাহান খানের মাধ্যমে পরিবহন ধর্মঘট নামক সর্প দিয়ে দংশন করায় এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নামক ওঝার মাধ্যমে বিষ নামায়!
এবারের পরিবহন ধর্মঘটের সময় মানুষের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট এবং সরকারের প্রতি যথাযথভাবেই আক্রমণাত্মক ছিল। পত্রিকাগুলোর সংবাদে মানুষের কষ্টের কথা ও প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরেছে তাদের সংবাদে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার তাদের কী ক্ষতি করতে পারে, সে কথা ভুলে গিয়েই মানুষের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করে ছবিসহ দেখিয়েছে। বিভিন্ন টকশোতে সরকারের না হলেও সরকারের কিছু ব্যক্তির তুমুল সমালোচনা করা হয়েছে। সরকার এবং সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীকে মানুষ ভয় করে সত্য; কিন্তু এবার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সেই ভয় অতিক্রম করেছে বলে আমার মনে হল। যা হোক, ফেসবুকে প্রকাশিত কয়েকটি মন্তব্য নিচে উদ্ধৃত করছি, আলাদা আলাদা অনুচ্ছেদে। পাঠক নিজেই উপসংহার টানতে পারবেন। বোধগম্য কারণেই আমি মন্তব্যকারীদের আসল নাম বাদ দিয়ে ছদ্মনাম ব্যবহার করছি।
একজন ভদ্রলোক যার ছদ্ম নাম দিলাম শেরশাহ, তিনি নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট দেন। সেখানে একটি কৌতুক লিখেন। কৌতুকটি- এক মন্ত্রীর গাড়ির নিচে পড়ে একটা কুকুরের বাচ্চা মারা গেল। মন্ত্রী ড্রাইভারকে বলল : ‘যাও এটার মালিককে খবর দাও।’ ড্রাইভার মালিকের খোঁজে পাশের গ্রামে চলে গেল; কিন্তু ড্রাইভার যখন ফিরে এলো তখন তার হাতে মিষ্টির বাক্স আর গলায় টাকা ও ফুলের মালা!! মন্ত্রী (অবাক হয়ে) : এগুলা কী?! ড্রাইভার : স্যার, গ্রামের লোকজন আমার পুরো কথা শোনার আগেই আমাকে মালা পরিয়ে মিষ্টি খাওয়াতে লাগল। মন্ত্রী : কিন্তু কেন?’ ড্রাইভার : ‘আমি তো শুধু এতটুকু বলছিলাম যে- আমি মন্ত্রী সাহেবের ড্রাইভার, আমি কুকুরের বাচ্চাটাকে মাইরা ফেলছি…।’ কেন জানি পরিবহন ধর্মঘটে এ কৌতুকটা মনে পড়ল।
বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাইরা দুটি ক্যাম্পে বা শিবিরে বিভক্ত। একটি ক্যাম্প বা শিবির হল সরকারপন্থী বা সরকার সমর্থক; আরেকটি গ্রুপ বা শিবির হল সরকারবিরোধী বা সরকার সমালোচক। যে তিনজনের উদ্ধৃতি দিচ্ছি তাদের মধ্যে একজন সরকার সমালোচক বলেই জানি। একজন সাংবাদিক ভাই যার ছদ্মনাম দিলাম ইবনে বতুতা। তিনি তার টাইমলাইনে একাধিক পোস্ট দেন। আমি একটি পোস্ট পুরোপুরি তুলে ধরছি এবং আরেকটি আংশিক লিখছি। প্রথমে পূর্ণ পোস্ট :‘মতিঝিল থেকে হেফাজতিদের সরাতে সরকারের ১৩ মিনিট লাগে। নিরীহ বামেরা সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতে মাঠে নামলে তাদের পিটিয়ে রাস্তাছাড়া করা হয়। আর চালকরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবৈধ আন্দোলন করে গত ৮ দিন ধরে দেশের একটি অংশ, দুদিন ধরে গোটা দেশ অচল করে রেখেছে। অবৈধ আন্দোলন করার দায়ে যাদের গ্রেফতার করার কথা, তাদের সঙ্গেই সমঝোতা। কেন, কেন, কেন?’ আংশিক পোস্টটি: ‘… মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার আগে শাজাহান খান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। কোনো আপত্তি নেই। …তিনি ঘাতক বাসচালকদের প্রতি অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কথা বলছেন; কিন্তু যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের পরিবারের প্রতি তার কোনো সমবেদনা নেই। যা আসলে শপথ লংঘন। মন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতির পদ ত্যাগ করা উচিত হলেও তাতো করেনইনি, বরং মন্ত্রী হওয়ার পর গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক হয়েছেন। তার মানে তার শপথ ভঙ্গের আওতা আরও বেড়েছে। সব দেখেশুনে আমার মনে হয়েছে শাজাহান খান সরকারের চেয়ে বড়। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে…।’
আরও একজন সাংবাদিক ভাই যার ছদ্মনাম দিলাম মানসিংহ, তিনি ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার পর একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। দুটি ক্ষুদ্র আকারের পোস্ট তুলে ধরলাম। প্রথমটি : ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সংগঠনগুলোর এ ক’দিনের ধর্মঘটে এবার দেশের কত টাকা ক্ষতি হল, সরকার জানাবে কি?’ দ্বিতীয়টি : ‘মিস্টার নৌ খান’-এর এক ফুঁৎকারেই স্বেচ্ছায় অবসরে (!!) যাওয়া পরিবহন শ্রমিকরা আবারও দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। এমন পীরে কামেল, বুজুর্গ দরবেশ, জনপ্রিয় নেতাকেই তো খুঁজিতেছে বাংলাদেশ। উহাকে ‘বঙ্গদেশের ত্রাণকর্তা’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় উপাধি দেয়া হোক।
সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাংশে তখনকার আমলের বাংলা বা বঙ্গদেশ খুব সমৃদ্ধ ছিল। ওই সময় দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ‘মগ’ জাতির দস্যুরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুব লুটপাট ও ডাকাতি হতো। বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বতম জেলা দুটি হচ্ছে বান্দরবান ও কক্সবাজার। এ দুটি জেলার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ, যেখান থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক, অকল্পনীয় নির্যাতন চালিয়ে তাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। অত্যাচার বা আক্রমণ যারা চালাচ্ছে তাদের বলা হচ্ছে রাখাইন উপজাতি। এ রাখাইন উপজাতির আগের নাম মগ। সেই মগরাই চারশ বছর আগেও অত্যাচার এবং লুটপাট চালাত। তখনকার আমলের মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি থেকে নিযুক্ত, তৎকালীন বাংলা-প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারী শাসনকর্তা বা সুবেদার, পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। অতএব মগরা যা ইচ্ছে তাই করেছিল। অর্থাৎ তখন সরকার ছিল না, মোগলদের পরিবর্তে দেশের মালিক হয়ে গিয়েছিল মগ দস্যুরা। মুল্লুক শব্দটির অর্থ দেশ বা এলাকা ইত্যাদি। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে মিলিয়ে দেখুন।
শত প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বাংলাদেশের বিচার বিভাগ আইনের শাসন কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছেন এটা যেমন সত্য; তেমনি বাস্তবতা হল, বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার অবিরত চেষ্টা। বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের সহস কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তথা ভৌত কাঠামো উন্নয়ন কর্ম যেমন বাস্তব; তেমনি প্রকাশ্য এবং গোপন অর্থ ও সম্পদ লুটপাট, খুন-খারাবি, ধর্ষণ ও অসম্মান, গালিগালাজ, অস্ত্রের ঝনঝনানি ইত্যাদিও নিত্যনৈমিত্তিক বাস্তবতা। মাননীয় মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতায় পরিবহন ধর্মঘট হয়! আইন শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিতদের সামনেই অনেক ক্ষেত্রে সরকারি লোকজন যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছেন এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকেরা এসবকে দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের যাওয়ার জায়গা নেই। এজন্যই মানুষ বলছে, আমাদের দেশ এখন মগের মুল্লুক; কিন্তু আমি বলছি না। কারণ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, একজন কল্যাণমুখী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি কোনোমতেই আমার প্রিয় দেশকে ওই বিশেষণে ভূষিত করতে পারি না। আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব, যাদের কারণে দেশের বদনাম, সবাইকে যেন আল্লাহতায়ালা হেদায়েত করেন।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি
mgsmibrahim@gmail.com