ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ-পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি সোহরাওয়ার্দীতে চার দিনের ‘জুলাই জাগরণ’: সাংস্কৃতিক চেতনায় ফিরে দেখা ২০২৪ বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতা‌লি গে‌ছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বিতর্কিত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করতে কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার স্থানে হবে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ সন্ধ্যার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সুনামির সতর্কতায় জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়ল সব কর্মী ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় সুনামির আঘাত

অভিবাসীদের প্রাণহানিতে বান কি-মুনের আহ্বান

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৫
  • 401

স্টাফ রিপোর্টার,
794
সম্প্রতি গত কয়েকদিনে ভূমধ্যসাগর পথে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বোটডুবিতে প্রাণহানির ঘটনাসমূহ প্রতিহত করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনাসমূহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘সংহতির এ সঙ্কট’ প্রতিহত করতে সমষ্টিগত রাজনৈতিক সাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে অভিবাসনের নিরাপদ ও বৈধ চ্যানেলগুলো প্রসারিত করা তথা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাসমূহ তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন ও তার হৃদয় ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেন বান কি-মুন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূলে দুটি বোটডুবির ঘটনায় ৮ বাংলাদেশীসহ প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারান। এর আগে ভিয়েনায় একটি ৭১ অভিবাসীর মৃতদেহসহ একটি লরি উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্যদের সবাই সিরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, দুরূহ ও বিপজ্জনক যাত্রাপথে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া এসব শরণার্থীদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংঘাত এবং অন্যান্য সমস্যা ও সঙ্কট যার কারণে মানুষের সামনে পালানো ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না, সেগুলো নিরসনে আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশে ফেরার পর নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, অভিবাসন প্রত্যাশী বা আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুন বলেন, এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় নয়। মানুষ হিসেবেও এটা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, এটা সংহতির সঙ্কট, সংখ্যার নয়। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পথে উরোপে পাড়ি দেয়ার সময় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মৃতের সংখ্যা ওই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

ট্যাগস :

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

অভিবাসীদের প্রাণহানিতে বান কি-মুনের আহ্বান

আপডেট সময় : ০৮:২০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৫

স্টাফ রিপোর্টার,
794
সম্প্রতি গত কয়েকদিনে ভূমধ্যসাগর পথে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বোটডুবিতে প্রাণহানির ঘটনাসমূহ প্রতিহত করতে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনাসমূহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ‘সংহতির এ সঙ্কট’ প্রতিহত করতে সমষ্টিগত রাজনৈতিক সাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে অভিবাসনের নিরাপদ ও বৈধ চ্যানেলগুলো প্রসারিত করা তথা বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন। প্রাণহানির ঘটনাসমূহ তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন ও তার হৃদয় ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেন বান কি-মুন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূলে দুটি বোটডুবির ঘটনায় ৮ বাংলাদেশীসহ প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারান। এর আগে ভিয়েনায় একটি ৭১ অভিবাসীর মৃতদেহসহ একটি লরি উদ্ধার করা হয়। হতভাগ্যদের সবাই সিরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, দুরূহ ও বিপজ্জনক যাত্রাপথে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া এসব শরণার্থীদের অধিকাংশই সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানের নাগরিক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংঘাত এবং অন্যান্য সমস্যা ও সঙ্কট যার কারণে মানুষের সামনে পালানো ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা থাকে না, সেগুলো নিরসনে আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশে ফেরার পর নিপীড়নের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, অভিবাসন প্রত্যাশী বা আশ্রয়প্রার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুন বলেন, এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় নয়। মানুষ হিসেবেও এটা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, এটা সংহতির সঙ্কট, সংখ্যার নয়। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পথে উরোপে পাড়ি দেয়ার সময় আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের মৃতের সংখ্যা ওই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।