ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব নিয়ে কী ভাবছেন দুই দলের নেতারা?

  • প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 54

বাংলাস্টেটমেন্ট প্রতিবেদক
গত ১৬ বছরে বিএনপি এবং জামায়াতকে একটি শব্দে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী, উন্নয়ন বিরোধীসহ নানা তকমা দেয়া হতো তাদের। পাঁচ আগস্টের পর আলাদা চরিত্র স্পষ্ট হচ্ছে দুই দলের। কথার আক্রমণে বিদ্ধ করছে একে অপরকে। নেতারা বলছেন, আদর্শিক কারণেই দল দু’টি আলাদা।

বিএনপির বহুবছরের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। জোট করে নির্বাচন ও সরকার গঠন এবং পরে বিরোধী হিসেবে হেনস্তারও ভাগিদার তারা। শেখ হাসিনাকে হটাতে যারা একই সুরে, একই পণে মাঠে নামেন, ধীরে ধীরে দল ও সংগঠনগুলো প্রকাশ করতে শুরু করেছে নিজেদের ঘরানা। সরাসরি অনৈক্য না হলেও সাংগঠনিক ভিত্তি প্রমাণে ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে অনেকের মাঝে।

জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা রাজনীতি করে তাদের মধ্যে এমন বিভিন্ন সময় দেখা যায়। অতীতেও অনেক দলে দেখা গেছে। আমরা মনে করি না যেভাবে তারা কথা বলছে, সেটাই তাদের সিদ্ধান্ত বা সেভাবেই তারা এগোবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক দলের আলাদা চিন্তা থাকে। নির্বাচন করলে তো ভাইয়ে-ভাইয়েও ঝগড়া হয়। যখন তারা কথা বলবে, সেটা তো নিজদের স্বার্থের কথাই বলবে। এটাই স্বাভাবিক।

তবে ঐক্যমত্যের সুরও শোনা গেল জামায়াতের এই নেতা কণ্ঠে। তিনি বলেন, মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে মৌলিক জিনিসের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

গুঞ্জন আছে, ইসলামী ও সমমনা দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট করতে চায় জামায়াত। যদিও আওয়ামী বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের নিয়ে হাঁটার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ৫০ বছরে নির্বাচনের যে হিসাব নিকাশ আছে তাতে তো জামায়াত বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী না।

এছাড়া বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি কখনও মোনাফেকি করেনি। তারা (জামায়াত) ২০১৮ সালেও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিল। এখন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখছি তারা বিএনপির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে। ভিন্ন দল হিসেবে এমনটা করতেই পারে বলে মত এই নেতার।

বিএনপি মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সামনে রাখছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাছাড়া সংগঠন হিসেবেও কলেবর অর্থাৎ সমর্থকগোষ্ঠী যে বিপুল তা বারবার প্রমাণিত। তাই জামায়াতকে আর যাই হোক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন না নেতারা। দুই দলের নেতারাই বলছেন, দেশের বৃহত্তর ঐক্যে তাদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব নিয়ে কী ভাবছেন দুই দলের নেতারা?

আপডেট সময় : ০৮:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাস্টেটমেন্ট প্রতিবেদক
গত ১৬ বছরে বিএনপি এবং জামায়াতকে একটি শব্দে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী, উন্নয়ন বিরোধীসহ নানা তকমা দেয়া হতো তাদের। পাঁচ আগস্টের পর আলাদা চরিত্র স্পষ্ট হচ্ছে দুই দলের। কথার আক্রমণে বিদ্ধ করছে একে অপরকে। নেতারা বলছেন, আদর্শিক কারণেই দল দু’টি আলাদা।

বিএনপির বহুবছরের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। জোট করে নির্বাচন ও সরকার গঠন এবং পরে বিরোধী হিসেবে হেনস্তারও ভাগিদার তারা। শেখ হাসিনাকে হটাতে যারা একই সুরে, একই পণে মাঠে নামেন, ধীরে ধীরে দল ও সংগঠনগুলো প্রকাশ করতে শুরু করেছে নিজেদের ঘরানা। সরাসরি অনৈক্য না হলেও সাংগঠনিক ভিত্তি প্রমাণে ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে অনেকের মাঝে।

জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা রাজনীতি করে তাদের মধ্যে এমন বিভিন্ন সময় দেখা যায়। অতীতেও অনেক দলে দেখা গেছে। আমরা মনে করি না যেভাবে তারা কথা বলছে, সেটাই তাদের সিদ্ধান্ত বা সেভাবেই তারা এগোবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক দলের আলাদা চিন্তা থাকে। নির্বাচন করলে তো ভাইয়ে-ভাইয়েও ঝগড়া হয়। যখন তারা কথা বলবে, সেটা তো নিজদের স্বার্থের কথাই বলবে। এটাই স্বাভাবিক।

তবে ঐক্যমত্যের সুরও শোনা গেল জামায়াতের এই নেতা কণ্ঠে। তিনি বলেন, মতবিরোধ থাকতে পারে। তবে মৌলিক জিনিসের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

গুঞ্জন আছে, ইসলামী ও সমমনা দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জোট করতে চায় জামায়াত। যদিও আওয়ামী বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের নিয়ে হাঁটার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ৫০ বছরে নির্বাচনের যে হিসাব নিকাশ আছে তাতে তো জামায়াত বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী না।

এছাড়া বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিএনপি কখনও মোনাফেকি করেনি। তারা (জামায়াত) ২০১৮ সালেও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছিল। এখন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখছি তারা বিএনপির ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে। ভিন্ন দল হিসেবে এমনটা করতেই পারে বলে মত এই নেতার।

বিএনপি মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে সামনে রাখছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তাছাড়া সংগঠন হিসেবেও কলেবর অর্থাৎ সমর্থকগোষ্ঠী যে বিপুল তা বারবার প্রমাণিত। তাই জামায়াতকে আর যাই হোক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন না নেতারা। দুই দলের নেতারাই বলছেন, দেশের বৃহত্তর ঐক্যে তাদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।