ঢাকা ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশের চাহিদা থাকে ব্যাপক। এ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ভারতে ইলিশ রপ্তানি এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে ইলিশ চেয়ে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

গত বছর দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠিতে লেখা হয়েছে, অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপে ভারতে ২৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মৎস্য প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার।

এতে আরও লেখা হয়েছে, দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায় আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।

চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা আরও লিখেছেন, গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২৪২০ টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর ২০২৩ সালে ৩,৯৫০ টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ টন, ২০২২ সালে ২,৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১,৩০০ টন এবং ২০২১ সালে ৪,৬০০ টনের মধ্যে ১২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছিল।

অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ না আসার কারণে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে কিছুটা আক্ষেপও প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে।

‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই, কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এ সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।

চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরও শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্গাপূজায় ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের চিঠি

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশের চাহিদা থাকে ব্যাপক। এ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ভারতে ইলিশ রপ্তানি এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে ইলিশ চেয়ে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

গত বছর দুর্গাপূজায় ইলিশ পাঠানোর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠিতে লেখা হয়েছে, অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপে ভারতে ২৪২০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার মৎস্য প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার।

এতে আরও লেখা হয়েছে, দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায় আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।

চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা আরও লিখেছেন, গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২৪২০ টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর ২০২৩ সালে ৩,৯৫০ টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ টন, ২০২২ সালে ২,৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১,৩০০ টন এবং ২০২১ সালে ৪,৬০০ টনের মধ্যে ১২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছিল।

অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ না আসার কারণে পশ্চিমবঙ্গের ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে কিছুটা আক্ষেপও প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে।

‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই, কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এ সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।

চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরও শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।